শামীম ইকবাল চৌধুরী :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাইক্ষংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আলী হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করেছে নাইক্ষ্যংছড়ির ব্যাটালিয়ান ১১ বিজিবি। আজ ১৮ জুলাই আটককৃত মো: কামালকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
সোমবার( ১৭ জুলাই) বিজিবির হাবিলদার মো: আব্দুল মালেক বাদী হয়ে ৫ জনের নামে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত আসামীরা হলেন মো:কামাল(২৪),মো: নিজাম(২৩),মো: আলী হোসেন(২৮), মো: শুক্কুর আলী(৩০), মেহেদী হাসান সানি(২৭) তাঁরা সবাই নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গোপন সংবাদ ভিত্তিতে নাইক্ষ্যলছড়ি সদর ইউনিয়নে কম্বনিয়া জারুলিয়াছড়ি এলাকা হতে তল্লাশি চালিয়ে ১৮হাজার ২০৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ ৮০ হাজার বাংলাদেশী টাকা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য মোট ৫৪ লাখ ৬১ হাজার ৫শত টাকা । এ সময় মাদক ব্যবসায়ী ৪ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও মো : কামাল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে বিজিবি।
মামলার তথ্যপত্র থেকে জানাযায়, গত সোমবার (১৭ জুলাই) আটককৃত মাদক কারবারি মো: কামালসহ ৫ জনকে আসামী করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১)সারণির ১০(গ)/০১ ধারায় এবং জি-আর ১০১/২০২৩ইং মামলা দায়ের করা হয়।
আর এদিকে দলীয় সূত্রে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা জানান, গত সোমবার বিজিবি তল্লাসি চালিয়ে যে ১৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারে এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিজিবি,র সাথে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন যুব নেতা এবং ইউপি সদস্য আলী হোসেন মেম্বার। এলাকার বিভিন্ন সূত্র থেকে এই তথ্য পাওয়ার পর হঠাৎ কি ভাবে তাকে জড়িয়ে মাদক মামলার এজাহারে যুক্ত করা হলো সেটা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। অন্য এক ছাত্রনেতা মেহেদী হাসান সানি একজন ক্লিন ইমেজের নেতা। আমাদের জানা মতে সে কোন রখম মাদকের সাথে সম্পৃক্ত নয়। তবে তাকেও কি ভাবে এজার ভুক্ত আসামী করা হয়েছে তাও আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।
এতে দলীয় পক্ষ থেকে আমাদের এক মাত্র অনুরুধ থাকবে আসামীকৃত এই দুই নেতার পূনরায় তদন্ত করে করে সঠিক ভাবে মামলা দায়ের করা হউক।
১৮ জুলাই রাতে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফকরুল ইসলাম জানান, বিজিবি দাখিলকৃত এজাহার নামীয় মামলার আটককৃত আসামী মোঃ কামালকে ১৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালে বান্দরবান চীফ জুডিসিয়াল আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞআদালত আসামী মোঃ কামালকে কারাগারে প্রেরণ করে। অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।