এবার মিয়ানমার- নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তের ওপার থেকে মর্টারশেল ও ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দে কেপেঁ উঠেছে তুমব্রু-চাকঢালা গ্রাম।
শুক্রবার (৪ এপিল) গভীর রাত ২টা ১০ মিনিট থেকে ৩টা ১৫ টা সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত থেমে থেমে এ গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন চাকঢালার ইউপি সদস্য ফরিদুল আলম ও তুমব্রু পশ্চিম কূলের সমাজপতি জাফর আলম।
সূত্র আরো জানায়, নাইক্ষ্যংজছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু এলাকা ৩৩ পিলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের ভিতর থেকে প্রচন্ড গোলাগুলির অগণিত শব্দ এবং মাঝেমধ্যে আটিলারি মর্টারসেল বিস্ফোরণের তীব্র আওয়াজ সীমান্ত এলাকা পেরিয়ে তুমব্রু এলাকায় এসেছে। শুক্রবার গভীর রাতে এবং সন্ধ্যার পর থেকে এ আওয়াজ শুনতে পান গ্রামবাসী।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিগত অনেকদিন পর্যন্ত তাদের সীমান্ত এলাকা শান্ত ছিল।
ঘুমধুম বাজার এলাকার ব্যা বসায়ী মোঃ সরোয়ার জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পযর্ন্ত থেমে থেমে বড় আওয়াজের বিস্ফোরণের শব্দ তিনি শুনেছেন। তার ধারণা ওই বিস্ফোরণের শব্দ মিয়ানমারের ভিতরের চলমান যুদ্ধে ব্যা বহৃত বিভিন্ন গোলাবারুদ বিস্ফোরণের শব্দ আসছে অনেকটা ভিতর থেকে।
অপর দিকে নাইক্ষ্যংয়ছড়ির সদর ইউনিয়নের ৪৩/৪৪ সীমান্ত পিলার এলাকা বিপরীতে থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট থেকে ৭টা ৫ মিনিট পর্যন্ত ৭টা বড় বিস্ফোরণের শব্দ মিয়ানমার থেকে এসে নাইক্ষ্যং্ছড়ির সীমান্ত এলাকা পেরিয়ে গ্রামীণ জনপদে শোনা গেছে।
জামছড়ির স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাদের জামছড়ি সীমান্ত এলাকা মোটামুটি শান্ত রয়েছে। মাঝে মধ্যে দুয়েকটি বিস্ফোরণের আওয়াজ আসে। সেগুলো মিয়ানমারের অনেক ভেতর থেকে এতে আতঙ্কগ্রস্ত নন তারা।
এ বিষয়ে ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল সাহল আহমেদ নোবেলের সাথে একাধিকরার যোগাযোগ করা হলেও তিনি তার ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।