মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

নাইক্ষ্যংছড়িতে ৮ বোনের সিন্ডিকেট,১৯ হাজার ইয়াবাসহ আটক তিন বোন!

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ৮ বোনের শক্তিশালী ইয়াবা সিন্ডিকেটের ৩ সদস্য আপন বোন ইয়াবা নিয়ে চট্রগ্রামে র‍্যাব-৭’র হাতে আটক হয়েছে।তাদের নিকট থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।যেসব ইয়াবা অভিনব কায়দায় পাচার কালে এসব ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়।

১৮ ফেব্রুয়ারী বিকেলে র‍্যাব-৭ জানিয়েছে,এবার জানা গেলো বোন সিন্ডিকেট নামে একটি চক্রের কথা। ৮ বোনের এই চক্রের ৩ জন চট্টগ্রামে ধরা পড়েছেন।র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা চোরাচালানের চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য দিয়েছে ওই তিনি বোন।কচুর মুখির ভেতরটা ফাঁপা করে তাতে ইয়াবা ঢুকিয়ে বিশেষ আঠা লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মুখ। এমন বিশেষ কায়দায়, কক্সবাজার থেকে ১৯ হাজার ইয়াবা আনার পথে র‍্যাবের হাতে ধরা পড়ে ফাতেমা বেগম এবং তার দুই বোন হালিমা ও আসমা।র‍্যাব বলছে, ফাতেমাদের ৮ বোনের সবাই এ ব্যবসায় পাকাপোক্ত। প্রথমে বহণকারী হিসেবে কাজ করলেও এখন নিজেরাই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।

চট্টগ্রামে র‍্যাব ৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম ইউসুফ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর চেকপোস্ট এড়াতে প্রথমে কক্সবাজারের চকরিয়া হয়ে আলীকদম,থানচি হয়ে তারা যান বান্দরবানে।সেখান থেকে রাজস্থলী, চন্দ্রঘোনা হয়ে চট্টগ্রামের গন্তব্যে পৌঁছান তারা।

তাদের বাড়ি কক্সবাজারের রামুতে বলা হয়েছে র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে।কিন্তু তাদের প্রকৃত বাড়ি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বেতবনিয়ার কুলাল পাড়ায়।ধৃতদের বাবার নাম মৃত নুর আহমদ।তারা ঘুমধুম ইউনিয়নের নোয়াপাড়ার সিন্ডিকেট প্রধান সেলিনা আক্তার, চট্রগ্রামে থাকা অপর বোন মনোয়ারা বেগমের পরিচালিত ইয়াবা কারবারি সিন্ডিকেটের সদস্য।তারা ৮ বোন ইয়াবা পাচারের জন্য একেক সময় একেক নাম,ঠিকানা ব্যবহার করে বাসা ভাড়া নিয়ে চট্রগ্রামে বসবাস করছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে ইয়াবা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি চট্টগ্রামে বাসা ভাড়া নেন আট বোনের ওই সিন্ডিকেট। গেলো কয়েক বছর ধরে নির্বিঘ্নে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসা চক্রটি এবারই প্রথম ধরা পড়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে।তাদের অপরাপর সিন্ডিকেট সদস্যদের গ্রেফতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের আশ্রয়দাতা, সুবিধাভোগী,হটাৎ কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার পিলে চমকানোর মত অনেক রাঘববোয়ালদের নাম ও অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে সচেতন মহলের দাবী।


আরো খবর: