উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ, রোহিঙ্গাদের ভোটার বয়কট, বিয়ের ফার্ণিচার নিয়ে নানা স্থানে ভোগান্তি, ইয়াবা, জনশুমারি, করাতকল ও বন রক্ষা, চোর-সন্ত্রাসীদের সোর্স নিয়োগসহ আরো নানা বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে ।
বুধবার (৮ জুন) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্যরা এ সব বিষয় নিয়ে জোরালো বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি স্ব স্ব কতৃপক্ষকে সততার সাথে এ বিষয়ে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান তারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস।
সভায় কমিটির সদস্য মন্ত্রী বীর বাহাদুরের প্রতিনিধি খাইরুল বাশর বলেন, সীমান্তে ইয়াবাসহ চোরাচালান রোধ করা যাচ্ছে না কোনভাবেই। আজ সীমান্ত দিয়ে যেভাবে মাদক আসছে সব মিলে ঘুমধুমকে ইয়াবা নগরী নাম দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আহ্বানও জানান এ প্রবীণ নেতা।
কমিটির অপর সদস্য দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ বলেন, সীমান্তে চোরাকারবারিরা আসন্ন কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে খুবই সক্রিয়। চোরাই গরু পাচারে মরিয়া তারা। তাতে দেশীয় গরু খামারীরা বেকায়দায়।
ঋণের বোঝা নিয়ে তারা যাতাকলে, তাদের চোখের পানি মুছা সকলের দায়িত্ব ।
অপরদিকে ১১ বিজিবি এবং আলীকদম উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি তৎপর থাকলেও চোরাকারবারীরা থেমে নেই। এ বিষয়ে সীমান্ত রক্ষীদের আরো বেশী সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানানো হয় সভায়। এ ছাড়া সাংবাদিক আবদুর রশিদদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করার বিষয়েও বক্তব্য রাখেন তিনি।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মংহ্লা ওয়াই মার্মা বলেন, চোরাচালান ইয়াবা, জুয়া বন্ধ করতে হবে। সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা রাজা মিয়া বলেন, ইয়াবা, চোরাই গরু পাচার বন্ধ হতে হবে।
বাইশারীর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানী,সদরের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন, দৌছড়ির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান, ঘুমধুমের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ, ১১ বিজিবি প্রতিনিধি শাহ আলম, প্রেসক্লাবে সদস্য সচিব জাহাঙ্গির আলমও উপরোক্ত বিষয়ে জোরালো বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল, রেঞ্জ অফিস, সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাণী সম্পদ, কৃষি অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, তথ্য আপা অফিসের প্রতিনিধি, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, সদস্য জয়নাল আবেদীন টুক্কু, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা, সরকাবি-বেসরকারি আরো বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা।