নাইক্ষ্যংছড়িতে ১১ বিজিবির উদ্যোগে বেকার শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও সনদ বিতরণ এবং গরীব, অসহায় দুস্থদের মাঝে আর্থিক অনুদান, মেধাবী শিক্ষার্থী নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সনদ ও অনুদান তুলে দেন ১১ বিজিবি’র অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লে; কর্ণেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন ১১ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর আশিক ইকবাল ও কোয়ার্টার মাস্টার এবং সুবেদার মেজরসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থীসহ পাহাড়ি বাঙালি ব্যক্তিবর্গ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রতিনিধিগণ ও শিক্ষক, শিক্ষার্থীগণ।
বিজিবর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির ব্যবস্থাপনায় নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের আওতাধীন এলাকায় বসবাসরত ৪০ জন অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি টাকা হস্তান্তর, ৭জন গরীব, অসহায় ও দুস্থ পাহাড়ি-বাঙালি জনসাধারণের মাঝে এ অনুদান প্রদান করা হয়।
পাশাপাশি জোনের উদ্যোগে পরিচালিত বিনামূল্যে অত্র এলাকার গরীব ও বেকার ৩য় ব্যাচের ১০ জন শিক্ষার্থীর অংশ গ্রহণে ৩ মাস ব্যাপী সমাপ্তকৃত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এর শিক্ষার্থীদের নিকট সনদপত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়া ও ১০ জন প্রশিক্ষণার্থীর সমন্বয়ে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ-২০২৫ এর উদ্বোধন করা হয়। যা পর্যায়ক্রমে চলমান থাকবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল এস কে এম কফিল উদ্দিন উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, বিজিবি জোয়ানরা সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধ অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনসহ পার্বত্য এলাকার সাধারণ জনগণের শান্তি, সম্প্রীতি, শিক্ষার মান উন্নয়ন, খেলাধুলা এবং জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি জোন শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার নিমিত্তে নাইক্ষ্যংছড়ি জোন কর্তৃক ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।