বিগত দুই দশকের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পাঁচদিনেরও বেশি সময় পার হবার পরে তুরস্কে ধ্বংসস্তূপের নিচে মিলছে প্রাণের স্পন্দন। উদ্ধারকারীদের প্রাণপন চেষ্টায় এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিত লোকজনের সন্ধান মিলছে। যেন অলৌকিকভাবে উদ্ধারের ঘটনা আজ আরও বেশি ঘটছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গত সোমবার আঘাত হানা ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তুরস্কে আজ আরও এক কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ার পাঁচ দিনের বেশি সময় পর তাকে উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারী কর্মীরা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের হতায়ে প্রদেশের ধ্বংসস্তূপের নিচে ১২৮ ঘণ্টা পর জীবিত এক কিশোরের সন্ধান মিলেছে। উদ্ধারকারীরা ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরকে ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করেছেন।
একাধিক ব্রিটিশ গনমাধ্যম জানায়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সোমবারের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত একটি অঞ্চলে শনিবার উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করছেন দেশি-বিদেশি উদ্ধারকর্মীরা। শনিবার সকালের দিকে আরদা ক্যান ওভুন নামের ওই কিশোরকে ধসে পড়া একটি ভবনের নিচ থেকে স্ট্রেচারে করে উদ্ধার করা হয়েছে।
অপরদিকে, একই দিনে অর্থাৎ শনিবার তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশের ধসে যাওয়া একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ৭০ বছর বয়সী মেনেকসে তাবাক নামের এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ওই নারীকে উদ্ধারের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে শতাধিক আফটারশক হয়।যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। কয়েক দশকের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দুই দেশে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ।