শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

দ্বিতীয় দিনেও রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪

শহিদ রুবেল::

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ও শরণার্থী ক্যাম্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

দুইদিনের এই পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিও পরিচালিত সেবা কেন্দ্রগুলোতে রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রা, শিক্ষামূলক কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবা, ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের বিষয়ে অবগত হন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনের মতো ক্যাম্প-১৫ তে সেইভ দ্যা চিলড্রেন পরিচালিত চায়না রোজ এডুলেসন ক্লাব পরিদর্শন করেন। এখানে তারা কিশোর-কিশোরীদের জন্য পরিচালিত শিক্ষামূলক কার্যক্রম ও তাদের বিনোদনমূলক সুযোগগুলো পর্যবেক্ষণ করেন।

প্রতিনিধি দলটি কিশোরদের প্রতি যত্নশীল থেকে তাদের শিক্ষামূলক কার্যক্রম ও খেলাধুলা চলমান রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং রোহিঙ্গা কিশোর-কিশোরীরা যাতে অপহরণ, মাদকাসক্তি, ও যৌন হয়রানির মতো সমস্যায় না পড়ে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

এর আগে বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে প্রতিনিধি দলটি ক্যাম্প-৪-এ ইউএনএইচসিআর পরিচালিত ডাটা এন্ট্রি সেন্টার পরিদর্শন করেন। তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তথ্য সংরক্ষণের কার্যক্রমের বিবরণ নেন এবং সেখানে কর্মরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর ইউনিসেফের অর্থায়নে পরিচালিত শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যান এবং রোহিঙ্গা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।

এইছাড়াও প্রতিনিধি দলটি ক্যাম্প-৪ ব্র্যাক পরিচালিত রিফিউজি কমিউনিটি সেন্টার, ডাব্লিউএফপি পরিচালিত ই-ভাউচার আউটলেট, এবং ক্যাম্প-১৮ তে আইওএম পরিচালিত রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের শেষ পর্যায়ে প্রতিনিধি দলটি ক্যাম্প-২০ এর আইওএম পরিচালিত ইনোভেশন ভ্যালি ঘুরে দেখেন।

এই ভ্যালিতে নবনির্মিত রোহিঙ্গা শেল্টার এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন উদ্ভাবনী কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। পরে দলটি রোহিঙ্গাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং সেবা কার্যক্রম নিয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই প্রতিনিধি দলে রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আনা অরলান্ডিনি (প্রধান, ইইউ-ডিজি ইকো বাংলাদেশ অফিস), মাইক আহেরন (টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ইইউ-ডিজি ইকো কক্সবাজার সাব-অফিস) এবং পাবলো পাদিন পেরেজ (ফরেন ম্যানেজার, ইইউ ডেলিগেশন টু বাংলাদেশ)।

###


আরো খবর: