নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর – বিশ্বকাপের ১৫তম ম্যাচে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস। এই ম্যাচ জিতলে ভারতকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠবে প্রোটিয়ারা। তবে এই ডাচদের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিল টেন্ডা বাভুমার দল। অন্যদিকে ভালো ক্রিকেট খেলতে চায় ডাচরা।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ধর্মশালায় মুখোমুখি হবে দুইদল। এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে প্রোটিয়ারা দুটিতেই জয় তুলে নিয়েছে। অন্য দিকে এখনও জয়ের দেখা পায়নি ডাচ বাহিনী।
শক্তির বিচারে দুই দলের পার্থক্যটা যোজন যোজন। ওয়ানডেতে কখনোই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের হারিয়ে দিয়েছিল ডাচরা। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাভুমা তাই প্রতিপক্ষকে পূর্ণ সম্মান দেয়ার কথাই জানালেন।
বাভুমা বলেন, আমরা কাউকেই ছোট করে দেখি না। গতবারের হারটা ছিল টি-টোয়েন্টিতে, এবারের ম্যাচ ওয়ানডে। দুই ফরম্যাট একদমই আলাদা। আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে আমরা প্রতিপক্ষকে সম্মান করি, সেটি নেদারল্যান্ডসই হোক কিংবা যেই হোক। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলংকার বিপক্ষে যে মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম, এবারও সেটা নিয়েই নামব।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হারের ভূত পিছু নেবে না দলের, এমনটাই বিশ্বাস বাভুমার, নেদারল্যান্ডস প্রাপ্য সম্মানটা পাবে। শেষবার আমরা তাদের কাছে হেরেছিলাম— এটি ঠিক। কিন্তু আমার মনে হয় না সেটি এই ম্যাচে প্রভাব ফেলবে। আমরা নিজেদের সেরাটাই দেবো।
ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়ে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বেশ আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। বাভুমা অবশ্য বলছেন, আউটফিল্ডে তেমন কোনো সমস্যা খুঁজে পাননি তিনি, ‘মাঠ একটু নরম লেগেছে। আমরা গতকাল অনুশীলন করেছি। সত্যি বলতে আউটফিল্ড অতটা খারাপ মনে হয়নি যতটা শুনেছিলাম। তবে আসল রূপ্টা হয়তো ম্যাচের সময় বোঝা যাবে। এটি নিয়ে আমরা আলোচনাও করেছি। আমরা সতর্কই থাকব। কীভাবে এবং কতটুক ডাইভ দিলে আমাদের জন্য ভালো হবে সেটা নিয়েও সবাই ভাবছে।’
এদিকে নেদারল্যান্ডসের কোচ রায়ান কুকও এই ম্যাচ নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। বিশেষ করে দলটিতে দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত একাধিক ক্রিকেটার থাকাকে দলের জন্য বাড়তি পাওনা মনে করছেন তিনি।
কুক বলেন, আমাদের দলে ভ্যান ডার মারউই ও কলিন অ্যাকরম্যানের মতো কয়েকজন রয়েছে যারা দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত। কোচিং স্টাফেও রয়েছেন বেশ কয়েকজন। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের আমরা খেলার মাঠে এবং এর বাইরে ব্যক্তিগতভাবেও চিনি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের হয়ে তাদের সঙ্গে আমরা অনেক কাজ করেছি।
এই অভিজ্ঞতা দক্ষিণ আফ্রিকা দল নিয়ে পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক বলেই মনে করেন রায়ান কুক। বলেন, আমরা তাদের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি। আমরা জানি তাদের সঙ্গে কী করা প্রয়োজন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো সুযোগ নিতে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর মতো হলে আমরা অবশ্যই সেটি করব।
বাভুমার প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রোটিয়ারা শতভাগ সামর্থ্য অনুযায়ী খেললে নেদারল্যান্ডসের পক্ষে এই ম্যাচে জয়ের আশা কমই থাকবে। তবে রায়ান কুকের প্রত্যাশা অনুযায়ী পরিকল্পনা সফল হলে নেদারল্যান্ডসের পক্ষেও ভালো কিছু করা সম্ভব। নেদারল্যান্ডস কি পারবে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে!
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১৭ অক্টোবর ২০২৩