কাবুল, ৩০ সেপ্টেম্বর – আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মতোই শুক্রবার থেকে বন্ধ হয়ে গেল দিল্লির আফগান দূতাবাস। এই দূতাবাসের দখল ছিল আফগানিস্তানের পূর্ববর্তী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার নিযুক্ত কূটনীতিকদের হাতেই। এবার তা কার দখলে থাকবে, এই নিয়ে চলছিল দ্বন্দ্ব।
জানা গিয়েছে, গত বুধবার বিদেশ মন্ত্রককে চিঠি দেয় আফগান দূতাবাস। জানানো হয়, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হবে। বর্তমানে দিল্লির আফগান দূতাবাসে মাত্র তিনজন আফগান কূটনীতিক ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁরা ফ্রান্সের উদ্দেশে রওনা হন। প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি আমলে নিযুক্ত দিল্লির আফগান দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে তালিবান প্রশাসনের কিছুতেই বনিবানা হচ্ছিল না। এর আগেও দিল্লিতে আফগানিস্তানের দূতাবাস দখল করার চেষ্টা চালিয়েছে তালিবান। কাবুল থেকে টাকা না মেলার দরুন আফগান দূতাবাসেক কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এবার নতুন করে কাজ শুরু হলে দায়িত্ব নিতে পারে মোল্লা আখুন্দজাদার দল। ভারত কি তা মেনে নেবে, সেটাই দেখার।
উল্লেখ্য, গত মে মাস থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল কুখ্যাত হাক্কানি নেটওয়ার্কের এক নেতাকে দিল্লির দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হিসাবে নিযুক্ত করেছে তালিবান (Taliban)। ভারতে নিযুক্ত তৎকালীন আফগান রাষ্ট্রদূত ফরিদ মামুদজে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, ”আফগানিস্তান ইসলামিক প্রজাতন্ত্র এক ব্যক্তির নয়াদিল্লিতে তালিবানের প্রতিনিধি হওয়ার দাবিকে অস্বীকার করছে। দূতাবাস আফগান নাগরিকদের সমর্থনের প্রতি ভারত সরকারের অবস্থানের প্রশংসা করছে।”
৯/১১ পরবর্তী অধ্যায়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে স্থাপিত হয়। তারপর থেকে সেদেশের সব প্রদেশেই বিনিয়োগ করেছে ভারত। হাইওয়ে থেকে আফগান পার্লামেন্ট, স্কুল, হাসপাতাল- ‘বন্ধু’ ভারতের সমস্ত বিনিয়োগই ঘোর সংকেটর মুখে পড়ে তালিবানের প্রত্যাবর্তনে। যদিও তালিবানের আশ্বাসে তৈরি হয় নতুন সম্ভাবনা।
এদিকে তালিবান আফগানভূম দখলের পর থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে ভারতের। চাপ বেড়েছে আফগানিস্তানের সীমান্তে থাকা দেশগুলিরও। মনে করা হচ্ছে, গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তালিবান। এহেন পরিস্থিতিতে দিল্লির আফগান দূতাবাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তালিবানের উদ্দেশ্য নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
আইএ/ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩