শিরোনাম ::
বাশার আল-আসাদকে তালাক দেবেন স্ত্রী, মস্কো ছেড়ে যাবেন লন্ডনে কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব কত টাকায় বিপিএলের অনুষ্ঠানে গাইবেন রাহাত ফতেহ আলী গ্রেপ্তারের ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিলো কাতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ মাদরাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু অবশেষে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন শাবনূর ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৬৫ জন প্রধান উপদেষ্টাসহ ২০ উপদেষ্টাকে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রচারণা মিথ্যা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১২ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত বেড়ে ২৩,৭০০

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত বেড়ে ২৩,৭০০

তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালি ভূমিকম্পে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে। শনিবার আলজাজিরার লাইভ আপডেট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৭১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের ২০ হাজার ২১৩ এবং সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫০০ জন।

ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। সময় যত গড়াচ্ছে ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকাদের জীবিত উদ্ধারের আশা। তারপরও উদ্ধারকারীরা জীবিতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভূমিকম্পের চার দিন পর অলৌকিকভাবে বেশ কয়েকজনকে জীবত উদ্ধারও করেছেন তারা। এরমধ্যে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল ১৭ বছরের এক বালিকাকে জীবিত উদ্ধার করেছে।

জাতিসংঘ বলছে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় এক কোটি মানুষের রান্না করা খাবারের প্রয়োজন।

এই পরিস্থিতিতে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ অন্তত ১০০টি দেশ এবং ২০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশসহ অনেক দেশ এরইমধ্যে মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছেন।

এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প এবং পরে আরও অনেকগুলো আফটারশক হয়।

এদিকে যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তারাও নিদারুণ কষ্টে আছেন। অসংখ্য মানুষ তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে আশ্রয় ও খাবার ছাড়া থাকায় তাদের জীবনও সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। তুরস্কের সাধারণ মানুষ এখনো উদ্ধারকাজের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, কিছু কিছু জায়গায় ভূমিকম্পের তিন দিন পর উদ্ধারকারীরা এসেছেন। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েও যারা জীবিত ছিলেন তারা তীব্র ঠাণ্ডা ও পানির অভাবে মারা গেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, মানবিক সংস্থাগুলোর সামনে এখন তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ আসছে।

গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ইনসিডেন্ট রেসপন্স ম্যানেজার রবার্ট হলডেন বলেন, এখন হাজার হাজার মানুষ খোলা জায়গায়, খারাপ ও ভয়াবহ অবস্থায় বেঁচে আছে। যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিতসহ পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নেই।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল


আরো খবর: