রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। যাদের নিজেদেরই মানবিক সাহাজ্য প্রয়োজন তারাই ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া তুরস্ককে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজেই এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেছেন, আমরা তুরস্কে সহযোগিতা পাঠাতে প্রস্তুত।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় তীব্র মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। বহু দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন দেশ দুটিকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম ইউক্রেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট এক টুইট বার্তায় তুরস্ককে সহায়তার ঘোষণা দেন। তিনি লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাকে আমার শোক জানিয়েছি। নিহত-আহত-আক্রান্তদের পরিবারের প্রতি আমার সহমর্মিতা রয়েছে। সব আক্রান্তের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। এই কঠিন সময়ে আমরা তুর্কি জনগণের পাশে থাকতে চাই। দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে যেকোনো সহযোগিতায় আমরা প্রস্তুত।
তুরস্কে সর্বশেষ ১ হাজার ৪৯৮ জন নিহত হয়েছেন। দেশটিতে পরপর দুটি বড় ভূমিকম্প হয়েছে। সিরিয়ায় ভূমিকম্পের আঘাতে মারা গেছে ৭৮৩ জন। দুটি দেশের আক্রান্ত প্রদেশ ও শহরগুলো এখন ধ্বংস্তুপের নিচে। নিখোঁজও আছেন বহু। এ অবস্থায় আক্রান্তদের অবস্থাও বেগতিক। প্রচণ্ড শীত ও তুষারপাতের কারণে তারা মানবেতর অবস্থায় রয়েছেন।
এ অবস্থায় তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন; ইউরোপীয় ইউনিয়নের- বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, চেক রিপাবলিক, ফ্রান্স, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড ও রোমানিয়া, ইতালি ও হাঙ্গেরি; জার্মানি; গ্রিস; স্পেন; ইতালি; রাশিয়া; পোল্যান্ড; যুক্তরাজ্য; যুক্তরাষ্ট্র; ভারত; পাকিস্তান; ইরান; ইসরায়েল; কাতার; নরওয়েজিয়ান রিফুউজি কাউন্সিল (এনআরসি); ন্যাটো; ইউএনএইচসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আক্রান্ত দুটি দেশে আহত ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের অত্যাবশ্যক স্বাস্থ্যসেবা দিতে জরুরি মেডিকেল টিমকে সক্রিয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান টেড্রোস গেব্রেসিয়াস।
সূত্র: বাংলানিউজ