কক্সবাজার-৪ (সংসদীয় আসন নং ২৯৭) উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা নিয়ে গঠিত। স্বাধীনতা পরবর্তীতে এই আসন থেকে যে দলের প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে সেই দলই সরকার গঠন করে আসছে যুগ যুগ ধরে। তাই উখিয়া-টেকনাফ আসনটিকে লক্ষ্মী আসন বলা হয়ে থাকে। তাই ছাড়াও এই সংসদীয় আসনটি মায়ানমার সীমান্তবর্তী হওয়ায় ভৌগোলিক ভাবে গুরুত্ব অসীম। এইদিকে ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় আশ্রয় গ্রহণ করায় সারা বিশ্বের দরবারেও এই আসনটি ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে।
এলাকার সুশীল সমাজ ও সচেতন মহল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবার যখন সংসদ নির্বাচন আসে তখনই দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি চুল চেরা বিশ্লেষণ করে দলের প্রার্থী ঠিক করেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রদান বা প্রার্থী ঠিক করার ক্ষেত্রে প্রতিবারই বিচক্ষণতা পরিচয় দিয়ে থাকেন। আসন্ন আগামী সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী ঠিক করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বিষয় মাথা রেখে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবারও দলীয় মনোনয়ন প্রদান করেছেন। গতবারের মতো এবারও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির স্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহিন আক্তার চৌধুরীকে। এর ফলে টানা ৩ যুগের বেশী সময় ধরে নৌকা প্রতীক বা নৌকার প্রার্থী টেকনাফ উপজেলা দখলে রয়ে গেলো।
দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে, উখিয়া উপজেলার রত্মা পালং ইউনিয়নের বাসিন্দা শমশের আলম চৌধুরী সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে ছিলেন। এরপর থেকে পরবর্তী সকল সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বা নৌকা প্রতীক পেয়েছেন টেকনাফ উপজেলার নেতা ও বাসিন্দারা। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। ২০০৮ ও ২০১৪ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন আবদুর রহমান বদি। ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন শাহিন আক্তার চৌধুরী, এবারও নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন শাহিন আক্তারই। এরা সবাই টেকনাফ পৌর সভার ও হৃীলা ইউনিয়নের বাসিন্দা। ফলের ৩ যুগের বেশী সময় ধরে নৌকা টেকনাফ উপজেলার দখলে থাকলো,সাথে সাথে উখিয়া উপজেলাবাসি বিগত ৩৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ তথা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়ে গেলো।