সিলেট, ১৭ জুলাই – দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং ইউনিট। কদিন আগেও যে বাংলাদেশ ছিলো সম্পূর্ণ স্পিন নির্ভর এক দল, সেখানে এখন দাপট দেখাতে শুরু করেছেন পেস বোলাররা। কখনো তাসকিন, কখনো মুস্তাফিজ, কখনোবা হাসান বা এবাদত, প্রায় সব ম্যাচেই বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে পার্থক্য গড়ে দিচ্ছেন পেসাররাই।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও বল হাতে দারুণ স্পেল উপহার দিয়েছেন পেসাররা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কাছেই জানতে চাওয়া হলো, আজকের দিনে কোন পেসার সেরা ছিলেন। দ্বিধাহীন কণ্ঠে সাকিব জানালেন, হাসান মাহমুদের নাম।
ম্যাচে ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তাসকিন আহমেদ। সেরা পেসার হিসেবে নাম স্বাভাবিকভাবেই সবার আগে আসবে। তবে ৩ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে কোনো উইকেট না পাওয়া হাসান মাহমুদকেই ভালো বোলার বলছেন অধিনায়ক সাকিব।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে কোন বোলার ভালো করেছে এমন প্রম্নের জবাবে হাসানের নাম বললেও সাকিব কৃতিত্বটা ছড়িয়ে দিয়েছেন পুরো বোলিং আক্রমণে, ‘আমার কাছে তো মনে হয়েছে, তাসকিনের চেয়ে হাসান ভালো বল করেছে। আমরা যারা পাঁচ-ছয়জন আছি, তাদের কাজই ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ করা।’
ম্যাচে দারুণ শুরুর পর দ্রুত আউট হয়েছেন লিটন দাস-আফিফ হোসেন। তবে, পরপর উইকেট হারালেও অধিনায়ক সাকিবের বিশ্বাস ছিল জয়ের প্রতি, ‘হুটহাট কয়েকটা উইকেট পড়ে গেলেও নার্ভাস হওয়ার মতো কিছু আসলে ছিল না। আমাদের শুরুটা যে রকম হয়েছিল, জানতাম যে আমরা সব সময় ওদের চেয়ে এগিয়ে আছি। মাঠের যে কন্ডিশন ছিল, ওদের স্পিনারদের জন্য কাজটা কঠিন হবে, এটা জানতাম।’
আফিফ হোসেনকে দেখা গেল ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গে, সাকিব নিজে ৪ নম্বরে না নেমে পাঠিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়কে। কেন এমন সিদ্ধান্ত সেই প্রশ্নের উত্তরে অধিনায়ক বললেন, ‘আমি ও কোচিং স্টাফরা মিলে চেয়েছিলাম, তরুণেরা বেশি সময় ধরে ব্যাটিং করুক, ম্যাচটা শেষ করুক।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলছেন এই আত্মবিশ্বাস কাজে দিবে আসন্ন বড় টুর্নামেন্টগুলোতে, ‘ওয়ানডে দলে যারা খেলে, তাদের অনেকেই এই টি-টোয়েন্টি দলেও আছে। ফলে ওরা এখান থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস নিয়েই এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে যাবে।’
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ১৭ জুলাই ২০২৩