শিরোনাম ::
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ঢাকায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে দেশে বিদেশে সম্পাদক নজরুল মিন্টোর সাক্ষাৎ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫


ঢাকা, ১০ জানুয়ারী – বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের কাছে প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিস্ট বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন কানাডা প্রবাসী, সাপ্তাহিক দেশে-বিদেশে’র প্রধান সম্পাদক ও দেশেবিদেশে টিভি’র সিইও নজরুল মিন্টো। সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের অফিসে তার সাথে সাক্ষাৎ করে তিনি দাবীগুলো জানান।

ঢাকাস্থ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নজরুল মিন্টো উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় বিশিষ্ট সাংবাদিক আনিস আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাতকালে প্রবাসীদের ১৮ দফা সম্বলিত বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে এগুলোর আশু সমাধান ও ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয়। উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিক নজরুল মিন্টোর দাবীগুলো খুব মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং বেশ কিছু দাবীর সাথে একমত পোষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

দাবিগুলো হলো:
১) অবৈধপথে অর্থ প্রেরণ বন্ধ করতে হলে রেমিটেন্স প্রণোদনা ২.৫% থেকে ৫% এ উন্নীত করতে হবে।

২) রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি করতে হলে সরকারি/বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে প্রযুক্তি বান্ধব অ্যাপস তৈরি করতে হবে (যে মাধ্যমে কোনো ফি ছাড়া ডলার, পাউন্ড, দিরহাম, রিয়াল, রিঙ্গিত সহজে কনভার্ট করে টাকায় রূপান্তরিত হয়ে প্রাপকের একাউন্টে পৌঁছে যাবে)।

৫) জন্ম নিবন্ধন, ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট নবায়ন, নতুন পাসপোর্ট, পাওয়ার অব অ্যাটর্নী সহ অন্যান্য ডকুমেন্টসের সত্যায়ন কিংবা সংশোধন সহজীকরণ করতে হবে। বিদেশের মাটিতে জন্ম নেয়া বাংলাদেশী বংশদ্ভূতদের বাংলাদেশী পাসপোর্ট গ্রহণে উৎসাহ দেয়ার জন্য সকল বাধা অপসারণ করতে হবে।

৬) পুলিশ ভ্যারিফিকেশনের নামে হয়রানি এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করা (সবচেয়ে ভাল হয় এ প্রক্রিয়াটি বাতিল করা)।

৭) বিদেশে বসে অনলাইনের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করণ।

৮) এক কোটির অধিক প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত প্রবাসী আসন এখন সময়ের দাবী।

১০) যেসব প্রবাসী উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টাকা বৈধভাবে দেশে প্রেরণ করবেন তাদের বিশেষ সুবিধা প্রদান (যেমন বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার, প্লট বন্টনে অগ্রাধিকার, জাতীয় অনুষ্ঠানাদিতে আমন্ত্রণ ইত্যাদি)।

১১) হুন্ডি ব্যবসায়ী এবং তাদের সহযোগিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

১২) উন্নত বিশ্বে (ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া) ষ্টুডেন্ট/ভিজিটর ভিসা প্রসেসিং এর নামে বিভিন্ন সেমিনার, অর্থ সংগ্রহ/অর্থ পাচার বন্ধ করা আবশ্যক। আদম পাচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

১৩) বিমানবন্দরে স্থাপিত প্রবাসীদের জন্য ‘ওয়ান ষ্টপ ডেস্ক’-কে শক্তিশালীকরণ। (প্রবাসীদের আগমণ, বর্হিগমন, আবাসন ও বাড়িতে যাতায়াত সহ কোনো ধরনের সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে)।

১৪) প্রবাসীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি গ্রাস করা, প্রতারণা কিংবা জবরদস্তি দখল রুখতে হলে প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা বা উপজেলায় পুলিশের বিশেষ ডেস্ক স্থাপন।

১৫) বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী প্রবাসীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেবা’ চালু করা এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প-কারখানা স্থাপনে সুযোগ প্রদান।

১৬) প্রবাসীদের মরদেহ সরকারি খরচে দেশে প্রেরণের ক্ষেত্রে দূতাবাসের ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ।

১৭) বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী টাকা পাচারকারীদের নাম প্রকাশ করতে হবে। এবং

১৮) প্রবাসী মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজাতে হবে। প্রয়োজনীয় কাজগুলোর দায়িত্ব এ মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই। প্রথমতঃ পাসপোর্টের দায়িত্বে রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; দ্বিতীয়তঃ দূতাবাসগুলোর তত্তাবধান এবং কনস্যুলেট সার্ভিস প্রদান করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আমরা এ জটিলতার অবসান চাই।



আরো খবর: