বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

টেকনাফে সম্রাট সাড়ে ৫ লাখে বিক্রি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ৪ জুলাই, ২০২২

হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ::

আর ক’দিন পর কুরবানীর ঈদ। কুরবানীর ঈদ আসলেই গরু-মহিষের হাটের তালিকায় উঠে আসে নানা বাহারী রঙের গরুর নাম। এবার সেই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে টেকনাফের ডেইল পাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের খামারে ১২ মণ ওজনের লাল রঙের সম্রাট। গরুটি সাড়ে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মিয়ানমার কোল ঘেঁষা উপজেলা টেকনাফ। কোরবানি ঈদ উপলক্ষে উপজেলাটিতে গড়ে উঠেছে রমরমা পশুর হাট বাজার। সেখানে স্থান পাচ্ছে বিভিন্ন জাতের দেশী-বিদেশী পশু। তবে, মিয়ানমার হতে পশু আমদানী বন্ধ রয়েছে।

এ উপজেলায় সবচেয়ে বড় পশু হাট টেকনাফ সী বীচ রোডের সদরের গোদারবিল-ডেইলপাড়া ওয়ার্ডের হাটবাজার। যা টেকনাফের গরু বাজার নামে পরিচিত। যেখানে ক্রেতা সমাগমের পাশাপাশি কোরবানীর পশুর ব্যাপক উপস্থিত দেখা যায়। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বাড়ছে বেচা-কেনা। তবে খামারিরা দাবির চাহিদা অনুযায়ী পশু বিক্রি করতে পারছে না তারা। কারণ হাটে মিয়ানমারের গরুর আমদানি না থাকায় দেশীয় পশুর দাম হাঁকাচ্ছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে, ক্রেতাদের দাবি গরুর দাম নাগালের বাহিরে হওয়ায় চাহিদা অনুসারে কোরবানীর পশু কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

পশু ব্যবসায়ী আবু ছৈয়দ বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছরে দেশী-বিদেশী কোরবানির পশুর ব্যাপক উপস্থিত থাকলেও বিক্রি কম। দেশের করোনা পরবর্তী অর্থনীতিক বিপর্যয় এবং মিয়ানমারের পশু আমদানি না হওয়ার ফলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অনেকটা কমে গেছে। তবুও নির্বিঘ্নে স্বাস্থ্য বিধি মেনেই কেনা-বেচা চলছে। হাটে রয়েছে সার্বিক নিরাপত্তায় র‌্যাব, পুলিশ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ মেডিকেল টিম ও পল্লী-পশু চিকিৎসক সহ সব ধরনের ব্যবস্থা।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মুজিব উল্লাহ বলেন, এ উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৭টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। আর প্রায় ৩০৭টি খামারে কোরবানির জন্য গবাদিপশু মজুদ রয়েছে প্রায় ১০ হাজারের বেশি। গতবারের চেয়ে এবারে কোরবানীর সংখ্যা বেশি হবে। কারন সাধারণ মানুষের হাতে টাকা এসেছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। যদিও গবাদি পশুর খাদ্যমূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও, খামারীরা ব্যবসা করছে।
কিন্তু, স্হানীয়দের ভাষ্যমতে, এ উপজেলায় ৩০ হাজারেরও বেশি পশু কোরবানির চাহিদা রয়েছে বলে দাবি করছেন তারা।

মিয়ানমারের গরুর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, সরকারি ভাবে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে তার মধ্য দিয়েও বছরের কোন সময়টাতে গরু ঢুকলে বিজিবি ক্রপ করে তা সরকারি বিধি মোতাবেক নিলাম করে। যা সাধারণ লোক কিনে নিয়ে প্রতিপালন করে বাজারে তুলেছে।

এদিকে, খামার ব্যবসায়ীরা দাবি করছে বাজারে মিয়ানমারের আমদানী করা গরু দেখা যাচ্ছে। এই গরু গুলো বর্তমান সময়ে আমদানি করা কোন নিলামে ক্রয় করা নয়, কেউ রশিদের কাগজ দেখাতে পারবে না। হাট পরিচালকের স্বাস্থ্য বিধি মেনেই কেনা-বেচার কথা বললেও দেখা যায়নি তেমন কোন ব্যবস্থা, নেই কোন মাস্ক।


আরো খবর: