কক্সবাজারের টেকনাফে ৪-৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে এক যুবককে অপহরণ করেন। এ ঘটনায় অ়ভিযুক্ত ৩জন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভিকটিমের বড় ভাই মো. ফরিদ আলম।
অপহৃত ভিকটিম-টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন লেদা এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৮)। সেই পেশায় একজন পোল্ট্রি ফার্ম ও মুদি দোকানদার।
গ্রেপ্তারকৃরা হলেন-টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদা হোসাইন আহমদের ছেলে মুহিব উল্লাহ(২৫), একই উপজেলার মুচনী এলাকার তাজর মল্লুকের ছেলে সুলতান আহমদ (৪৫) ও রামুর ছব্বির আহমদের ছেলে মো. রাশেদুল (২৪)।
রবিবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা বাজার থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
অপহৃত ভিকটিমের বড় ভাই ফরিদ আলম বলেন,আমার ছোট মো. জাহাঙ্গীর আলম বিকালে ফুটবল ম্যাচ খেলেন,খেলা শেষে লেদা বাজারস্থ একটি দোকানের সামনে স্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বলছিল,রাত যখন সাড়ে ১০ বাজে তখন হঠাৎ করে একটি কালো রংয়ের নোহা গাড়ি এসে অস্ত্র টেকিয়ে আমার ভাইকে গাড়িতে তুলার চেস্টা করেন।উপস্থিত থাকা লোকজন বাধাঁ দিলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ৪-৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে,উপস্থিত লোকজনদের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করেন,তখন তারা আমার ভাইকে গাড়িতে তুলে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে তারা চলে যায়।
পরবর্তী আমরা বিভিন্ন জায়গায় খবর দিয়ে হোয়াইক্যং নয়াবাজার এলাকায় নোহা গাড়িটা আটকানো হয়।সেখানে তিনজন অপহরণকারী ছিল তাদেরকে আটক করা গেলেও ওই গাড়িতে আমার ভাইয়ের দেখা মেলেনি।এখনো পর্যন্ত আমার ভাই অপহরণকারীদের কবল রয়ে গেছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, টেকনাফের লেদা বাজার থেকে রাতে মো. জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণ হয় বলে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে জানানো হলে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তিনজন লোককে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করেন।আমরা আটককৃত তিনজনকে জিজ্ঞেসাবাদ করতেছি। এবং অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারে একাধিক পুলিশের টিম কাজ করছেন বলে ওসি জানায়।
উল্লেখ্য, বিগত ৬ মাসে টেকনাফ উপজেলায় শতাধিক লোকজন অপহরণের শিকার হয়েছেন।এবং অপহরণের পর মুক্তিপন দিতে না পেরে টমটম (ইজিবাইক) চালক সহ ৪জন খুন হয়েছেন।