নিজস্ব প্রতিবেদক::
চকরিয়ার এক মালয়েশিয়া প্রবাসী টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছে। এক কোটি টাকা মুক্তিপণ না দিলে হত্যার হুমকি দেওয়ায় র্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্ররে এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
সুত্র জানায়, গত ২০ফেব্রুয়ারী রাত সোয়া ১১টারদিকে কক্সবাজার র্যাব-১৫ (সিপিসি-২) হোয়াইক্যং ক্যাম্প কমান্ডার মেজর এইচএম পারভেজ আরেফিনের নেতৃত্বে চৌকষ একটি আভিযানিক দল নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের পানির রিজার্ভ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড হালকাকারা জালিয়া পাড়ার মৃত নুরুল আলমের মালয়েশিয়া ফেরত মোহাম্মদ সেলিম (৪০) কে উদ্ধার করে।
এসময় অপহরণকারী চক্রের সদস্য নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের এইচ ব্লকের মোহাম্মদ হোসাইনের পুত্র মোহাম্মদ আলম (২১) কে আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে একই ব্লকের আব্দুস সালাম ওরফে লম্বাকালার পুত্র জোবায়ের (২৬), মোঃ সোলতানের পুত্র কালা হাসান (৩৭), মোহাম্মদ আমিনের পুত্র সাদ্দাম (১৮), জনৈক সানা উল্লাহ (২৮), ইজ্জত আলী (১৮), রফিক (২৪) পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ভিকটিম সেলিম দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া থাকাকালে জনৈক রোহিঙ্গা আনোয়ারের সাথে পরিচয় হয়। সেখানে সেলিম হতে আনোয়ার ৫শ রিঙ্গিত ধার নেয়। সে পাওনা টাকা উদ্ধার করতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৫টারদিকে নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের বেলাল মসজিদ নামে স্থানের ইটের রাস্তায় গেলে কয়েকজন অপহরণকারী তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে একটি খাদে হাত-পা বেঁধে আটকে রাখার পর মুঠোফোনের মাধ্যমে পরিবারের সাথে যোগাযোগ এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় সেলিমের স্ত্রী নুর বেগম নিরুপায় হয়ে স্বামীকে উদ্ধারের জন্য র্যাবের শরণাপন্ন হয়। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক ( ল এন্ড মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ বিল্লাল উদ্দিন জানান, ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করায় গ্রেফতার অপহরণকারীকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে এবং পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।