শিরোনাম ::
চকরিয়া বদরখালীতে গুলি করে হাত-পা কেটে যুবককে খুনের মামলার আসামি শাকিল গ্রেপ্তার রামুতে বৌদ্ধদের স্বর্গপূরী উৎসবে নারী-পুরুষের ঢল পালিয়ে বাংলাদেশে বিজিপির আরও ১১ সদস্য টেকনাফ র‍্যাবের পৃথক অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত ৪ আসামী গ্রেফতার র‍্যাবের অভিযানে স্বামী হত্যায় পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রী গ্রেফতার পেকুয়ায় রেঞ্জ কর্মকর্তাকে টাকা দিলেই মেলে পাহাড় কাটার অনুমতি নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কক্সবাজার ভ্রমণের লোভ দেখালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শখের বাইক নিয়ে আসা হলো না কক্সবাজার, পিকআপের ধাক্কায় প্রাণ গেল যুবকের সীতাকুণ্ডের পাঁচ গরু চকরিয়ায় উদ্ধার, অস্ত্রসহ তিন চোর গ্রেপ্তার ঈদগাঁওতে ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

জিয়া কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেননি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
জিয়া কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেননি

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, বিএনপি হলো মিথ্যুকের দল। মিথ্যাচারই তাদের সম্পদ। বিএনপির নেতারা দাবি করছেন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। অথচ জিয়াউর রহমান নিজে কোনো দিন দাবি করেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকার সময় ঢাকায় কারফিউ দিয়ে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের ধরে ধরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।

তিনি আরও বলেন, আজ বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের মধ্য দিয়ে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রের দিকে যাচ্ছে, তখন বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা দেশটাকে শ্রীলঙ্কা দেখতে চায়।

মির্জা আজম বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা ১৯৭১ সালে পিস কমিটির নেতা ছিলেন। তিনি তো রাজাকারের সন্তান। তার বাবা ১৯৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকতে পারেনি। তিনি ভারতে গিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন কারণ মুক্তিযোদ্ধারা পেলে তাকে হত্যা করত।

তিনি আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ। এখন আমরা উন্নয়নের রোল মডেল আর এই রোল মডেলের রূপকার শেখ হাসিনা। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। যিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য নিজের জীবন ও যৌবনের ১৩-১৪টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগের অগ্রযাত্রাকে ব্যর্থ করা যাবে না। সারা দেশে বিএনপি আন্দোলনের নামে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তার জবাব দিতেই আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে। দেশে কাউকে অশান্তি সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের মধ্য দিয়ে জনগণকে সংগঠিত করে বিএনপিসহ যারা দেশবিরোধী কার্যকলাপ করছে তাদের মোকাবিলা করবে।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিল আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। দেশের সব মসজিদ ভেঙে ফেলা হবে। দেশের সর্বত্র উলুধ্বনি দেবে। অথচ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বিশ্ব আদালতে মামলা করে ভারত ও মিয়ানমার থেকে সমুদ্র জয় করে। সরকারি অর্থায়নে একযোগে সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেন। বিএনপির মিথ্যা অপপ্রচার দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এই সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে পদ্মা সেতু বানায়, মেট্রোরেল করে, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করে। করোনাকালীন সময়ে বিশ্বের নামীদামি দেশ যখন দিশেহারা তখন বাংলাদেশ সবার আগে করোনার টিকার ব্যবস্থা করে। দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখে। সেই উন্নয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের চোখে পড়ে না, তাদের এসব ভালো লাগে না। বিএনপি আজকে গণতন্ত্রের কথা বলছে, অথচ তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে দল গঠন করেছিল। স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল। আমাদের সময় এসেছে রাজাকারের দল বিএনপিকে চূড়ান্তভাবে বয়কট করার।

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে মির্জা আজম বলেন, এবার বিএনপি নির্বাচনে না এলে তাদের দলের নেতাকর্মীরাই তাদের খবর করে ছাড়বে। তাই এখনো সময় আছে নির্বাচনে আসেন। আপনাদের জনপ্রিয়তা থাকলে নির্বাচনে আসুন। জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে এ দেশে আর নির্বাচন হবে না। সেই সুযোগ নেই। আন্দোলন যতই করুন কাজে আসবে না।

শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদত হোসেন বকুল প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন। সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম ও জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল।

শান্তি সমাবেশে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা, উপজেলা ও মহানগর এবং ওয়ার্ড কমিটির নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সমাবেশ থেকে তারা বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতি রুখতে রাজপথে থেকে লড়াই করার স্লোগান দেন।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট

 


আরো খবর: