রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

জয়ে ফিরল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩
জয়ে ফিরল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া


নয়াদিল্লি, ১৬ অক্টোবর – চলমান আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা। লক্ষ্ণৌর শ্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে আজ এই দুই দলের লড়াইয়ে কোনো একটি দল জয়ে ফিরবে, এটা ছিল অবধারিত। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসল প্যাট কামিন্সের দলই।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) ব্যাটিংয়ে মতো বোলিং আক্রমণের শুরুটাও দারুণ করেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু দুই বিভাগেই শুরুর ছন্দ পরে আর ধরে রাখতে পারেনি তারা। ফলে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে তাদের হ্যাটট্রিক হারের তিক্ত অভিজ্ঞতার দিনে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

কুশল পেরেরা ও পাতুম নিসাঙ্কার সৌজন্যে দুর্দান্ত শুরু, মাঝে হঠাৎ ধস, এরপর ঘুরে দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলঙ্কা। অ্যাডাম জাম্পা ও কামিন্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচে ফিরল অস্ট্রেলিয়া। ওপেনিং জুটিতে এক শ ছাড়িয়ে যাওয়ার পরও শ্রীলঙ্কার ইনিংস থামে ২০৯ রানে।

মিচেল মার্শ ও জশ ইংলিশের ফিফটিতে ২১০ রানের লক্ষ্য ৩৫.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তাড়া করে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্শ ভালো শুরু করেছিলেন। চতুর্থ ওভারেই এই জুটিতে ছেদ ধরান দিলশান মাদুশঙ্কা। ৬ বলে ১১ রান করে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ওয়ার্নার। ভাঙে ২৪ রানের ওপেনিং জুটি।

উইকেটে এসে রানের খাতা খোলার আগে মাদুশঙ্কা একই ওভারে ফেরেন স্টিভেন স্মিথও। অস্ট্রেলিয়ার স্কোর নড়বড় হলো না,২৪–এ ওয়ার্নার ও স্মিথের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় তারা। উইকেট গেলেও আরেক ওপেনার মার্শের ব্যাটে রান বাড়ছিল দ্রুত। তৃতীয় উইকেটে মার্নাস লাবুশেনেকে নিয়ে ৬২ বলে ৫৬ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েন মার্শ।

তবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৮ তম ফিফটির পর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি মার্শ। ৫১ বলে ৫২ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন এই ওপেনার। তখন অজিদের রান ছিল ১৪.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৬ রান। চতুর্থ উইকেটে লাবুশেনে ও জশ ইংলিশের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে জয়ের কাছে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া। দুজনে জুটিতে ৮৬ বলে ৭৭ রান যোগ করেন।

১৯ তম ওভারে লাবুশেনেকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু দেন মাদুশঙ্কা। ৬০ বলে ৪০ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। পঞ্চম উইকেটে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ইংলিশ ৩৪ রানের আরেকটি গড়েন। দ্বিতীয় ওয়ানডে ফিফটি তুলে ৫৮ রানে আউট হয়েছেন ইংলিশ। তখন থেকে নিঃশ্বাস দূরে অস্ট্রেলিয়া। মার্কাস স্টয়নিসকে সঙ্গে নিয়ে সহজেই বাকি কাজ সারলেন ম্যাক্সওয়েল। স্টয়নিস ২০ ও ম্যাক্সওয়েল ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে মাদুশঙ্কা ৩টি উইকেট নিয়েছেন।

চোটে পড়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন শ্রীলঙ্কার নিয়মিত অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন সহকারী অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। আগের দুই ম্যাচে হারলেও ৩০০–এর বেশি রান খুব সহজেই তুলেছিলেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটাররা। আজও টস জিতে সেরকম কিছু করতে চেয়েছিলেন তাঁরা।

মিচেল স্টার্ক-কামিন্সদের নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কঠিন বোলিং আক্রমণের সামনে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নিয়েছেন মেন্ডিস। ব্যাটিংয়ে নেমে নিসাঙ্কা ও পেরেরার সাবলীল ব্যাটিং যেন অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক প্রমাণ করেই যাচ্ছিল। স্টার্ক-জশ হেজেলউডদের হেসেখেলে রান তুলছিলেন দুই লঙ্কান ওপেনার। ১৩০ বলে দুজনে তোলেন ১২৫ রান। করেছেন জোড়া ফিফটিও।

২২ তম ওভারে পেরেরা-নিসাঙ্কার উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন কামিন্স। ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে হুক করে টানা দুটি চার মারতে যান নিসাঙ্কা। তৃতীয় বলে সফল হলেও চতুর্থ বলে সফল হননি। টপ এজ হয়ে বল আকাশে উঠে গেলে মিড উইকেট থেকে দৌঁড়ে এসে ক্যাচ ধরেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৬৭ বলে ৮ চারে ৬১ রান করেছেন নিসাঙ্কা।

এর পর উইকেটে আসেন কুশল মেন্ডিস। দুই কুশল মিলে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করলেও জুটি বেশি দূর এগোয়নি। ২৭ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পেরেরাকে বোল্ড করেন কামিন্স। পেরেরা ৮২ বলে ১২ চারে করেন ৭৮ রান। দ্বিতীয় উইকেটে দুই কুশলের জুটিতে এসেছে ২৮ বলে ৩২ রান।

১৫৭ রান পর্যন্ত ১ উইকেট ছিল শ্রীলঙ্কার। সেখান থেকে শেষ ৫২ রানে ৯ উইকেট হারিয়েছে তারা। জাম্পার ঘূর্ণিতে ফেরেন মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। দুই ওপেনারের পর পাঁচ নম্বরে নেমে চরিত আসালাঙ্কা ২৫ রান করেছেন। এ ছাড়া আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। ফলে ৪৩.৩ ওভারে ২০৯ রানে থেমে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ৮ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন জাম্পা। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক ও কামিন্স।

সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ১৬ অক্টোবর ২০২৩

সম্পুর্ন খবরটি পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন ::জয়ে ফিরল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া first appeared on DesheBideshe.



আরো খবর: