শিরোনাম ::
পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনা-বিজিপি সদস্যসহ ৪০ জনকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পেকুয়ায় মায়ের সামনে ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবহেলায় হাতি শাবকের মৃত্যু : ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সারসহ ট্রলার জব্দ, আটক ১০ জন বিএনপি অফিস নিয়ে ভুল উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও বিএনপিসহ সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে নেই বিএনপি-জামায়াত, খালি মাঠে আওয়ামী বিদ্রোহীদের ছড়াছড়ি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে নেই বিএনপি-জামায়াত, খালি মাঠে আওয়ামী বিদ্রোহীদের ছড়াছড়ি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে এবারও বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকেরা অংশ নিচ্ছেন না। তবে আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দল থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৪ জন প্রার্থী। ১১টি পদের বিপরীতে হলুদ দল ১১জনকে মনোনয়ন দিলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ১৩ জন। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সমাজবিজ্ঞান অনুষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন জানান, ‘শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১১ পদে মোট ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে তথ্য অসম্পূর্ণ থাকার কারণে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বাকি ২৪ জন প্রার্থী থেকে আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে যেকেউ চাইলে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবে। এরপর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।’

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ছিল মনোনয়ন নেওয়া এবং জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এতে হলুদ দল থেকে ১১টি পদে পূর্ণ প্যানেল মনোনয়ন জমা দেয়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দল ও সাদা দল থেকে বেরিয়ে আসা বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম থেকে কেউই মনোনয়ন ফরম নেয়নি। তবে সভাপতি পদে হলুদ দলের প্রার্থীর বিপরীতে আরও দুইজন, সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে হলুদ দলের প্রার্থীদের বিপরীতে আরও ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এদের সবাই নিজেদেরকে হলুদ দলের বলে দাবি করেছেন।

হলুদ দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, ‘হলুদ দল থেকে পূর্ণ প্যানেলে ১১ জনকে মনোনয়ন দিয়েছি। শিক্ষকরা যদি প্রশাসনের বলয়ের বাহিরে থাকে, তাহলে শিক্ষক সমিতি তাদের কাজগুলো সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে করতে পারে। কিন্তু শিক্ষক সমিতিতে যদি প্রশাসনের ছায়া থাকে, তাহলে তা আর সম্ভব হয় না।’

বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘৩০ তারিখ পর্যন্ত আমাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় আছে। এরপর এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবো।’

জামাত-বিএনপিন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নির্বাচনে না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটার সংখ্যা কম থাকায় এর আগে বিভিন্ন নির্বাচনে তাঁরা অংশ নিলেও জয়লাভ করতে পারেনি। মূলত একারণেই তাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না বলে আমি মনে করি।’

এদিকে গতবারের মতো এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না বিএনপি জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।

জামায়াত-বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা গত কয়েক বছর ধরে নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছি না। বর্তমানে নির্বাচন করার মতো অবস্থা নেই।’

তিনি বলেন, বর্তমানে যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল, সেভাবে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে না আসলে আমরা কোন নির্বাচনে অংশ নিব না।

বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমীন বলেন, ‘এখানে যত সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, তার অধিকাংশই রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ হয়েছে। তারা মেধা মননকে প্রাধান্য না দিয়ে রাজনীতিকে প্রাধান্য দিচ্ছে, তাই আমরা কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। এটা আমাদের একপ্রকার প্রতিবাদ বলা যায়।’

মনোনয়ন জমা দিলেন যারা-

সভাপতি পদে হলুদ দল থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী। একই পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন হলুদ দলের আরও দুই সদস্য। এরা হচ্ছেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্লহ্। সহ-সভাপতি পদে হলুদ দল থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলা উদ্দিন। একই পদে স্বতন্ত্র হয়েছেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ। কোষাধ্যক্ষ পদে হলুদ থেকে একাউন্টিং বিভাগ থেকে অধ্যাপক ড. আলী আরশাদ চৌধুরী, স্বতন্ত্র হয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মীর সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী।

সাধারণ সম্পাদক পদে হলুদ দল থেকে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। যুগ্ম সম্পাদক পদে হলুদ দল থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুলতানা সুকন্যা বাশার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান।

সদস্য পদে হলুদ দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এস এম সালামত উল্যা ভূঁইয়া, ওশানোগ্রাফী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এনামুল হক, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌমিতা পাল, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা। এছাড়া সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জ্ঞান রত্ন শ্রমণ, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ঝুলন ধর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম, ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়া, আইন বিভাগের অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহা ও  অধ্যাপক ড. রকিবা নবী এবং মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ।


আরো খবর: