নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক
এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া : চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে ঘাতক পিকআপ চাপায় নিহত ছয় ভাইয়ের পরিবারকে সরকারিভাবে দেয়া নতুন বাড়ি নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো.মামুনুর রশিদ। বৃহস্পতিবার (৭এপ্রিল) দুপুরে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দক্ষিণ পাশে বাড়ির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে এসময় উপস্থিত ছিলেন- চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.রাহাত-উজ জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও), ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দক্ষিণ পাশে ১৬ শতক সরকারি জমিতে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এই ১৬ শতক জমিতে আট পরিবারের জন্য আটটি সেমিপাঁকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রতিটি ঘরে দুটি বেডরুম, বারান্দা, একটি বাথরুম ও একটি রান্না ঘর থাকবে। এসব ঘর নির্মাণের জন্য প্রতি ঘরের জন্য চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এসব বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো.মামুনুর রশিদ স্যার বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এসব বাড়ি নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। কাজে যাতে অনিয়ম বা গাফিলতি না হয় সেজন্য সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেন। আশা করছি খুব শীঘ্রই ওই আট পরিবারের হাতে বাড়ি হস্তান্তর করতে পারবো।
উলেখ্য, চলতি বছরের ৮ ফেব্রæয়ারি ভোরে প্রয়াত বাবা সুরেশ চন্দ্র সুশীলের শ্রাদ্ধনুষ্টান পূর্ব ক্ষুদান্ন দান করতে যান অনুপম সুশীল, নিরুপম সুশীল, দিপক সুশীল, চম্পক সুশীল, রক্তিম সুশীল,স্মরণ সুশীল বোন মুন্নি সুশীল ও হীরা সুশীল। পরে ক্ষুদান্ন দান শেষে বাড়ি ফেরার জন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট হাসিনাপাড়ার পূর্ব পাশে নার্সারি এলাকায় সড়কে পাশে অবস্থান নেন তারা।
এসময় চকরিয়া থেকে কক্সবাজারগামি দ্রুতগতির একটি সবজি বোঝাই পিকআপ তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় পাঁচ ভাই। গুরুতর আহত হন রক্তিম সুশীল, প্লাবন সুশীল ও হীরা সুশীল। ভাগ্যক্রমে কোন আঘাত ছাড়া বেঁচে যান মুন্নি সুশীল। আহতদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রক্তিম সুশীল। বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে উঠেন বেঁচে যাওয়া একমাত্র সন্তান প্লাবন সুশীল ও হীরা সুশীল।