শিরোনাম ::
তিন প্রতিদ্বন্দ্বী দলের তিন প্রার্থীকে নিয়ে বিএনপি নেতা খায়রুল আলম চৌধুরীর অঘোষিত নিজস্ব প্যানেল! টেকনাফে মসজিদের বারান্দা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার জেলার ৩ উপজেলায় ৩২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল চকরিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নতুন ভাস্কর্য ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনে সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণসহ কাজের উদ্বোধন রামুতে বসত বাড়ি ভেঙ্গে পিকআপযোগে লুট : গৃহবধুকে কুপিয়ে জখম শাহওমরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়-২০০ ব্যাচের বন্ধু ও পারিবারিক মিলিয়ন মেলা সম্পন্ন বৃদ্ধা মরিয়মের লুট হওয়া দুইটি গরু ১৭ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পেকুয়া থানা পুলিশ চকরিয়ায় মোটর সাইকেল থামিয়ে তল্লাশি, ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পেকুয়ায় সরব ৭জন প্রার্থী নানা আয়োজনে কক্সবাজারে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩২ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চকরিয়ায় স্ত্রী-সন্তানের সন্ধান পেতে হতভাগা স্বামীর আদালতের আশ্রয়

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ২০ মে, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া::

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা দিনমুজুর মাহাবুল আলম স্ত্রী ও ফুটফুটে সন্তানকে ফিরে পেতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। শ^াশুড় বাড়ির লোকজন অসৎ উদ্দেশ্যে স্ত্রী মায়মুনা বেগম (২৮) এবং তাঁর শিশু ছেলে সোহেল (৮) কে অন্যত্র সরিয়ে রেখেছে বলে আদালতের কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় হতভাগা মাহাবুল আলম বাদি হয়ে ১৬ মে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি জিডি (নং ২১৭) রুজু করেছেন।

আদালতের জিডিতে স্ত্রী মায়মুনা বেগম (২৮) ছাড়াও আসামি করা হয়েছে শ^াশুড়ি লাইলা বেগম (৫৫) ও স্ত্রীর বড়বোনের স্বামী সেলিম উদ্দিন (৩৫) কে। বাদি মাহাবুল আলম সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ফাইতং ব্রীজের উত্তর এলাকার আহমদ মিয়ার ছেলে। অপরদিকে অভিযুক্ত তিনজনের বাড়ি একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মানিকপুর এলাকায়।

আদালতে রুজুকরা জিডিতে বাদি মাহাবুল আলম বলেন, ১০বছর আগে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মানিকপুর এলাকার ছৈয়দ আলম প্রকাশ ছৈয়দের মেয়ে মায়মুনা বেগমকে কাবিননামা সম্পাদনের মাধ্যমে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনের শুরুতে পাঁচবছর নিজের বাড়িতে ছিলেন। সেখানে বড়ছেলে সোহেল (৮) জন্মগ্রহন করেন। কিন্তু সংসার জীবনের পাঁচবছর সময়ে স্ত্রী মায়মুনা তাকে (স্বামী) নিজের বাড়ি ছেঁেড় শ^াশুড় বাড়িতে (ঘরজামাই) হিসেবে চলে যেতে বাধ্য করেন।
মাহাবুল আলম আদালতে বলেন, স্ত্রীর কথা মতো তিনি শ^াশুড় বাড়িতে চলে যান। সেখানে যথারীতি বসবাস শুরু করেন। এরই মধ্যে সেখানে ছোট ছেলে রাফি মনি (৩) জন্মগ্রহন করেন। এভাবে সংসার জীবন কোনমতে সুখে শান্তিতে অতিবাহিত করে আসছিলেন। তাঁর দাবি, গত ১৩ মে স্ত্রীর বড়বোনের স্বামী সেলিম উদ্দিনের বাড়ির ধান কাটতে যান। রাতে বাড়ি ফিরলে দেখলে স্ত্রী মায়মুনা ও বড়ছেলে সোহেল ঘরে নেই। তাঁরা কোথায় গেছে জানতে চাইলে শ^াশুড়ি লাইলা বেগম বলে আমার মেয়ে তোমার সঙ্গে সংসার করবে না, তাই সে অন্যত্র চলে গেছে। ওই কথা শুনে শাশুড় ছৈয়দ আলমের সঙ্গে কথা বলেন মাহাবু। তিনিও তাকে বলে আমার মেয়ে তোমার সঙ্গে আর ঘর করতে রাজী না। বরং তুমি ছোট সন্তান রাফি মনিকে নিয়ে তোমার বাড়ি (নিজের বাড়ি) চলে যাও। এ অবস্থায় নিরুপায় ওইদিন (১৩ মে) রাত দশটার দিকে ৩বছর বয়সের শিশু সন্তানকে নিয়ে শ^াশুড় বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে চলে আসতে বাধ্য হন হতভাগা মাহাবু।
আদালতের জিডিতে মাহাবুল আলম অভিযোগ করেন, আমার স্ত্রী ও সন্তানকে অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছে। এখন তারা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠাবে। বিষয়টি নিয়ে কোনদিন শাশুড় বাড়িতে আপত্তি করতে গেলে হত্যা করবে। এ অবস্থায় আতঙ্কে ভুগছেন মাহাবুল আলম।


আরো খবর: