এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের সংরক্ষিত ও রির্জাভ বনাঞ্চল এবং আবাদি জমি কেটে বালু লুটের বাণিজ্য কোনমতেই থামানো যাচ্ছেনা।
উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তদর ওই এলাকা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে বারবার অভিযান পরিচালনা করে অর্থ জরিমানা কবলেও জড়িতরা ফের কিছুদিন পরপর সংক্রিয় হয়ে উঠেছে।
এই অবস্থার কারণে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের প্রভৃতি জনপদে অবৈধ বালু উত্তোলন যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। তাতে প্রতিমাসে লাখ টাকার বেশি রাজস্ব হারাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
অন্যদিকে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধ সেলো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকায় ওই এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অপরদিকে অবৈধ বালু লুটের মহোৎসব নিবিঘœ থাকায় সরকারিভাবে জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নেয়া বালু মহালগুলোর ব্যবসা লাটে উঠার উপক্রম হচ্ছে।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানতে পেরে সর্বশেষ শুক্রবার ১৫ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পাগলির বিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন ও ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ।
অভিযানে ওই এলাকার পাহাড়ি জনপদে অবৈধভাবে বসানো ২৬টি বালু উত্তোলনের সেলো মেশিন ও দেড়হাজার ফুট পাইপ জব্দ করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো.রাহাত উজ জামানের নেতৃত্বে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী এবং ফুলছড়ী রেঞ্জের বনকর্মীরা যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাফারি পার্কের পাশে পাগলির বিল এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার ১৫ এপ্রিল সকাল ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন ও ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ।
অভিযানে ওই এলাকায় অবৈধভাবে বসানো ২৬টি বালু উত্তোলনের সেলো মেশিন ও দেড়হাজার ফুট পাইপ জব্দ করা হয়েছে।