এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ২৫০ ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবার এবারই প্রথম রোজার ঈদ উদযাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার নতুন ঘরে। ইতোমধ্যে উপজেলার ফাসিয়াখালী, ডুলাহাজারা, সাহারবিল ও পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের আলাদা সরকারি খাসজমিতে উপকারভোগী নির্বাচিত আড়াইশত গরীব পরিবারের জন্য তৈরী করা হয়েছে মুজিববর্ষের অঙ্গীকার নতুন বাড়ি। গতকাল রোববার নির্বাচিত আড়াইশত পরিবারের নামে জমির রেজিষ্ট্রিও সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আড়াইশত পরিবারের মাঝে জমির দলিলসহ নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। এইজন্য চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে সবধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান।
গতকাল রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের সম্মেলনকক্ষ মোহনায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ইউএনও জেপি দেওয়ান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো.ইউছুফ, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম.আর মাহমুদ ও এম.জাহেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হকসহ প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, সরকার প্রধানের নীতিগত সিদ্বান্তের আলোকে ‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এই শ্লোগানকে বাস্তবায়নের লক্ষে চকরিয়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকা থেকে ইতোপুর্বে ৮’শ ৭৪টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা করা হয়। এরমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ৪’শ ৩০ পরিবারকে মুজিববর্ষের উপহার নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয়ধাপে উপকারভোগী নির্বাচিত এসব পরিবার সেখানে বসবাস করছে।
তিনি বলেন, একই প্রকল্পের অধীনে তৃতীয় দফায় চকরিয়া উপজেলা এবং পৌরসভা এলাকার ভুমিহীন ও গৃহহীন ২’শ ৫০ পরিবারের কাছে মুজিববর্ষের ঘর হস্তান্তর করার জন্য নির্মিত হয়েছে। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ৫০টি, সাহারবিল ইউনিয়নে ৫৪টি, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৮টি এবং পুর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে ১৩৮টি নতুন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
এসব ঘর আগামী ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে উদ্ধোধন করবেন। পরে তাদের জমির দলিলসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে। আধাপাঁকা এসব ঘর নির্মাণে প্রতি ঘরের জন্য ব্যয় হয়েছে ২লাখ ৪০ হাজার টাকা করে। এসব ঘরে ২টি রুম, বাথরুম ও রান্নাঘর রয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ভিশন ছিলো দেশে কোন ভুমিহীন পরিবার থাকবে না। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষে ভুমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর উপহার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে চকরিয়ায় ইতোমধ্যে ৪’শ ৩০ পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রীর ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তৃতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ২৫০টি নতুন ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি গতকাল রোববার উপকারভোগী নির্বাচিত আড়াইশত পরিবারের নামে জমির রেজিষ্ট্রিও সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল এসব ঘর তালিকাভুত্ত ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিলসহ হস্তান্তর করা হবে। এজন্য সব ধরনের প্রস্ততি শেষ করা হয়েছে। আমি মনে করি ভুমিহীন ও গৃহহীন এসব পরিবারের জন্য এবারের ঈদ খুব আনন্দের মধ্যে কাটবে।