ওমান প্রবাসির গাড়িতে ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাবার পথে পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তাঁর ডাকাতদের হামলায় নিহত হয়েছেন নারীসহ ৫ জন যাত্রী। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী নতুন রাস্তার মাথা এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা।
ডাকাতদের পিটুলিতে আহতরা হলেন চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের বাসিন্দা ওমান প্রবাসী রফিক উদ্দিন বাবুল, তার স্ত্রী মোশারফা বেগম, শাশুড়ি শাহেনা বেগম, শ্যালক চকরিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক জুলফিকার আলি ভুট্টো ও তাদের অটো রিকশা চালক মোহাম্মদ এহসান।
সাংবাদিক জুলফিকার আলি ভুট্টো বলেন, আমার ভগ্নিপতি রফিক উদ্দিন বাবুল ওমান প্রবাসি। গতকাল মঙ্গলবার ভোররাত আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে ভগ্নিপতি রফিককে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে গিয়ে বিমানে তুলে দেয়ার জন্য আমরা বাড়ি থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা গাড়ি নিয়ে বের হই।
তিনি বলেন, ভোররাত ৫টার দিকে আমরা মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী রাস্তার মাথা এলাকায় পৌছালে আমাদের সিএনজি অটোরিকশা ডাকাতের কবলে পড়ে। একপর্যায়ে ডাকাতরা আমরা সবাইকে পিটিয়ে মারধর নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন সেট লুটে নেয়। এরই মুহুর্তে নিকটস্থ হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে কৌশলে পালিয়ে যেতে থাকে ডাকাতরা।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ঘটনার পরপরই চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রকীব উর রাজাসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাতির শিকার ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয় তাদের কাছ থেকে প্রায় নগদ ১০ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল সেট নিয়ে গেছে।
ওসি বলেন, ওইসময় স্থানীয় লোকজন ডাকাতদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে ডাকাতরা ৩ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এরই মধ্যে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে হারবাং ফাঁড়ির একদল পুলিশ। এসময় ডাকাতরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। জবাবে পুলিশও ৪ রাউন্ড পাল্টা গুলি করলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে ডাকাতের ফেলে যাওয়া একটি কাটা বন্দুক উদ্ধার করা হয়।
গতকাল রাতে চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে একটি ও পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা রুজু করা হচ্ছে।