এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে দীর্ঘ ২৯ বছর পর নুর হোসেন হত্যা মামলার পলাতক আসামী মনোহর আলম প্রকাশ মনুর আলমকে (৪৬) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের হাজী পাড়া রাস্তার মাথা এলাকার একটি দোকান থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মনোহর আলম চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড হেতালিয়াপাড়ার মৃত আবদুল হাকিমের পুত্র। মামলার পর থেকে সে পলাতক ছিল। অভিযোগ রয়েছে, বিগত ২০১৬ সালে পরিবার সদস্যরা জালিয়াতির মাধ্যমে মনুর আলম মারা গেছে মর্মে থানা পুলিশ দিয়ে তদন্তও করা হয়।
চকরিয়া থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ১ আগষ্ট রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের হেতালিয়াপাড়া মসজিদের পাশে ছেলে জয়নাল আবেদীনের সাথে ঝগড়ার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন একই এলাকার মৃত ফজল করিমের পুত্র নুর হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের পুত্র সাহাব উদ্দীন বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মনুর আলম ছাড়া সবাই গ্রেফতার হয়ে জামিনে এসেছেন। মামলাটিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা অবশ্য ৭ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলার আসামী মুছা আলম, আবদু রশিদ, আলী হোসেন ও ফজল করিম জামিনে থাকলেও অপর আসামী আইয়ুব আলী, ইউসুফ আলী ইতোমধ্যে মারা গেছেন।
চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার এসআই রাজীব চন্দ্র সরকার বলেন,
বর্তমানে মামলাটি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলার ৬ জন আসামী কারাভোগ করে জামিনে থাকলেও আসামি মনুর আলম দীর্ঘ ২৯ বছর পলাতক ছিল। এরই মধ্যে দেড় বছর পূর্বে মনুর আলম বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসে। এরপর থেকে গ্রেফতার এড়াতে পলাতক ছিলেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ দেশে আসার পর আসামি মনুর আলমকে ধরতে হন্য হয়ে খুঁজছিল। অবশেষে বুধবার দুপুরে চকরিয়া থানার এসআই ওমর ফারুক, এএসআই শরীফ উল্লাহর হাতে ধরা পড়ে মনুর আলম।
এদিকে মনুর আলম গ্রেফতারের পর তার পরিবারের লোকজন এলাকায় নানা হুমকি ধমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন নিহতের পুত্র শামসুদ্দিন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি চৌকস দল দীর্ঘ ২৯বছর পর হত্যা মামলার পলাতক আসামি মনুর আলমকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে। গতকাল বৃহষ্পতিবার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।