এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় টমটম ইজিবাইক গাড়ি ছিনতাই করতে গিয়ে গাড়িটির চালক মুজিবুর রহমান (১৫) নামের কিশোরকে হত্যা করেছে যাত্রীবেশী ছিনতাই চক্রের সদস্যরা। আগেরদিন সকালে টমটম নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলেও ফিরেনি মুজিবুর। এ অবস্থায় নিখোঁজের ১২ ঘন্টা পর চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদী থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুৃলিশ।
স্থানীয় লোকজনের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বদরখালী নৌপুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল মাতামুহুরী নদীর বাঘগুজারা পয়েন্ট থেকে টমটম চালক মুজিবুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত মুজিবুর রহমান চকরিয়া উপজেল্রার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সিকদার পাড়া এলাকায় প্রবাসি মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
নিহতের ভাই আবদুল আজিজ জানান, আমার ছোট ভাই টমটম চালক মুজিবুর রহমান প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সকালে টমটম গাড়িটি নিয়ে বের হয়। কিন্তু এদিন রাত ১১টার দিকে তার মোবাইল ফোনে সংযোগ পাওয়া গেলেও রাত ১২টার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার (ইউপি সদস্য) কফিল উদ্দিন বলেন, টমটম চালক মুজিবুরের সন্ধানে সোমবার রাত থেকে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিতে থাকে। এক পর্যায়ে গতকাল মঙ্গলবারদুপুর ১২টার দিকে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের সীমন্তবর্তী মাতামুহুরী নদীর বাঘগুজারা পয়েন্টে ভাসমান অবস্থায় মুজিবুর রহমানের লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশকে খবর দিলে বদরখালী নৌ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে টমটম চালকের মরদেহ উদ্ধার করে।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলার বদরখালী নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজেম উদ্দিন। তিনি বলেন, টমটম গাড়িটি ছিনতাই করতে টমটম চালককে হাত-পা ও মুখ বেঁধে নদীতে ফেলে টমটম নিয়ে পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে। লাশের গলার নিচে দাগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।