কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটে যুবক আবদুর রহমানকে ইফতারের আগমুহূর্তে প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ এজাহারনামীয় ৭ আসামী গ্রেফতার হয়েছে। আলোচিত হত্যাকাণ্ডের একমাস পর র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহযোগিতায় গত মঙ্গলবার সন্ধা সাড়ে ছয়টার দিকে ফেনীর মহিপাল থেকে র্যাব-১৫ কক্সবাজারের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একসঙ্গে মামলার ৭ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চকরিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত আবদুর রহমান খুনের মামলার ৭ জন আসামীকে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে সৌপদ্দ করেন। পরে আদালত ৭ আসামিকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী। ওসি বলেন, আগেরদিন বুধবার রাতে র্যাব-১৫ কক্সবাজারের একটি টিম গ্রেফতারকৃত ৭ আসামিকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করেন।
গ্রেফতারকৃত ৭ আসামী হলেন চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বাসিন্দা আক্তার আহমদ এর ছেলে মোঃ নুরুল আলম (৩২), সৈয়দ আলমের ছেলে মোঃ শাহ আলম (২৭), নুর আহমদ এর ছেলে আবু বক্কর (২৭), মৃত সিদ্দিক আহমদ এর ছেলে মোঃ আজিজুল হক (৪০), সৈয়দ আহমদ এর ছেলে মনসুর আলম (৩২), ইব্রাহিম খলিল এর ছেলে মোঃ আবু হানিফ (৩০) ও আক্তার আহমদ এর ছেলে নুরুল আনোয়ার (৩৩)। গ্রেফতারকৃত সকলের বাড়ি চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট-পূর্ব ডুমখালী এলাকায়।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী প্রেসব্রিফিংয়ে বলেন, গত ২৫ মার্চ ইফতারের আগমুহূর্তে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব ডুমখালি এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান (৩৬) মালুমঘাট বাজার থেকে অস্ত্রের মুখে প্রকাশ্য দিবালোকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
বর্বরোচিত এ হত্যাকান্ডের খবর গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হবার পর এতে অভিযুক্ত আসামীদেরকে আইনের আওতায় আনতে দেশব্যাপী নাগরিক সমাজ সোচ্চার হন।
এ ঘটনায় গত ২৭ মার্চ নিহতের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এসপি আবু সালাম চৌধুরী বলেন, মামলা দায়েরের পর কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া খুনি আসামীরা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিলেও তাদের গ্রেফতারে তৎপরতা বৃদ্ধি করে র্যাব-১৫। এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সার্বিক সহযোগিতায় র্যাব-১৫ এবং র্যাব-৭ চট্টগ্রামের এর যৌথ আভিযানিক দল ফেনী জেলার সদর থানাধীন মহিপাল এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মনসুর আলমসহ এজাহারনামীয় সাতজন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।