নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদে হামলা ও ভাংচুর করার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্না।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম। বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন চৌধুরী, হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ, কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন, ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, স্থানীয় সমাজকর্মী গোফরানুর রহমান চৌধুরী, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কফিল উদ্দিন প্রমুখ।
এসময় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, সকল ইউপি সদস্য ( মেম্বার), গ্রাম পুলিশ, স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সভা ও সাংবাদিক সম্মেলনে চকরিয়া উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত পুর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একইসঙ্গে চেয়ারম্যান মেম্বার ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে আহবান জানান। এইধরনের হামলা ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত রোববার (৩০ জুলাই) পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি মানবিক কর্মসুচির আওতায় তালিকাভুক্ত ৫১০ জেলে পরিবারের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়। এসময় প্রতিজন জেলেকে ৩০ কেজি করে চাউল দেয়ার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও সংশ্লিষ্টরা চাউল বিতরণ করেছেন ২৭ কেজি বা ২৮ কেজি করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন চাউল কম দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করেন।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (১ আগস্ট) কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদে ঢেকে নিয়ে একাধিক জেলে পরিবার সদস্যদের কাছ থেকে চাউল কম দেওয়া হয়নি মর্মে স্বাক্ষর নিতে চেষ্টা করে। এসময় খবর পেয়ে বেশকিছু জেলে পরিবার সদস্য ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায়ে বাঁধা দেন। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে ও ভেতরে দুইপক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, তর্কাতর্কি ও হামলার ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক স্থানীয় মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ##