নয়া দিল্লি, ২৮ ফেব্রুয়ারি – এক মাসের এক সদ্যোজাত শিশুকে মায়ের পাশ থেকে তুলে নিয়ে গেল কুকুর (Dog)। পরে হাসপাতালের ওয়ার্ডের বাইরে মিলল শিশুটির মৃতদেহ। রাজস্থানের (Rajasthan) এক সরকারি হাসপাতালে ঘটেছে এমনই মর্মান্তিক ঘটনা। শিশুর বাবার অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের গাফিলতি ঢাকতে তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে সাদা পাতায় সই করিয়ে নিয়েছে জোর করে।
জানা গিয়েছে, শিশুটির বাবা মহেন্দ্র মীনা ফুসফুসের অসুখে ভুগছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য ভরতি হয়েছিলেন হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগে। তাঁর দেখভাল করার জন্য তাঁর সঙ্গেই ছিলেন স্ত্রী রেখা। সঙ্গে ছিল তাঁদের তিন সন্তান। মীনা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ”আমি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলাম সোমবার। দু’টি কুকুর হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে। আমার স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েছিল। রাত দুটো নাগাদ ঘুম ভেঙে সে দেখতে পায় আমাদের সদ্যোজাত সন্তান নিখোঁজ। ওয়ার্ডের বাইরে একটি কুকুর তাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জোর করে সাদা পাতায় আমার স্ত্রীকে দিয়ে সই করিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তারপর আমাদের সন্তানের শেষকৃত্যও করে দিয়েছে। আমি ওকে একবার শেষ দেখাও দেখতে পেলাম না।”
পুলিশ জানাচ্ছে, সিসিটিভি খতিয়ে দেখে দেখা গিয়েছে দুটি কুকুর ওই ওয়ার্ডে ঢুকছে। তাদের মধ্যে একটি কুকুর মুখে করে সদ্যোজাতটিকে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালের সুপারিটেন্ডেন্ট জানিয়েছেন, শিশুটির ময়নাতদন্ত হওয়ার পরে একটা মামলা রুজু করে সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিজেপি রাজস্থানের শাসক দল কংগ্রেসকে এই ঘটনায় তোপ দেগে অভিযোগ তুলেছে, রাজ্য প্রশাসন দাবি করেছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির। অথচ হাসপাতালে এভাবে কুকুরদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর বিজেপি নেতারা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন সরকারের থেকে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
আইএ/ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩