গ্যাসের দাম বাড়ানো সঠিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে ব্যবসায়ীদের বিদেশে পণ্যের দাম বাড়াতে বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। দেশে রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি রাস্তায় দুর্ঘটনা অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে হানিফ এসব কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
হানিফ বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অর্থাৎ গ্যাসের দাম আমাদের কিছুটা সমন্বয় করতে হয়েছে। এ নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী চমৎকার একটি কথা বলেছেন। এদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারী কারা? সবচেয়ে বেশি গ্যাস ব্যবহার করেন শিল্প কারখানার মালিকরা।
তিনি বলেন, গ্যাসের বাড়ানোর ফলে তাদের হয়তো বাড়তি কিছু টাকা ব্যয় করতে হবে। সাধারণ মানুষ কম গ্যাস ব্যবহার করে। তাদের ওপর এই চাপটা কম থাকবে। আমি সেই ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করব, বিশেষ করে যারা গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গে, টেক্সটাইলের সঙ্গে জড়িত, আমরা কেন সরকারের ভর্তুকি দিয়ে ইউরোপ আমেরিকার জনগণের পোশাকের জন্য ব্যয় করবো, ভর্তুকির টাকা বহন করব? এর বেনিফিট তো তারা পাচ্ছে, আপনারা নেগোসিয়েট করে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করুন, তাহলে তো বাড়তি চাপ আপনাদের অনুভব হবে না।
ব্যবসায়ীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার কারণে দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে আসে, ফলে আমাদের দেশের ভর্তুকির ওপরে আপনাদের নির্ভর করতে হয়। আমি মনে করি। প্রধানমন্ত্রী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
হানিফ বলেন, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারা দেশে রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, এটা সত্য। পাশাপাশি রাস্তায় দুর্ঘটনা অনেক বেড়েছে। চালকদের কারণেই কিন্তু আমরা বারবার দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছি। যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়, এই ড্রাইভিং লাইসেন্সের পদ্ধতি পরিবর্তন করা উচিত। বেশিরভাগই যারা লাইসেন্স নেয়, তাদের শিক্ষার ঘাটতি আছে। তারা জানে না আইন, তারা জানে না নিয়মনীতি, তাদের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। তাদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা নেই।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে যেভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়, তাদের পরীক্ষা নিয়ে পাস করার পর ব্যবহারিক পরীক্ষা নিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়। আমাদের দেশে এই পদ্ধতি চালু করা হোক। যাদের ন্যূনতম শিক্ষার যোগ্যতা আছে, যারা আইন পড়তে পারে, আইন বুঝতে পারে, তাদের লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। এতে রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা কমে আসতে পারে।
সূত্র: বাংলানিউজ
,