ওয়াশিংটন, ২৬ অক্টোবর – ত্রাণ ও জরুরি পণ্য সরবরাহের সুবিধার্থে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক বিরতির যে প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার তাতে ভেটো দিয়েছে চীন ও রাশিয়া। এনিয়ে চতুর্থবারের মতো ব্যর্থ হলো গাজা ইস্যুতে শান্তি প্রস্তাব।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) তোলা খসড়ায় বলা হয়, গাজায় ত্রাণ প্রবেশে মানবিক অস্ত্রবিরতির কথা। সরাসরি ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করে, কোনো দেশের আত্মরক্ষার অধিকার ইস্যু ছিল এই প্রস্তাবে। এতে সমর্থন দেয় নিরাপত্তা পরিষদের ১০ সদস্য। ভোটদানে বিরত ছিল দুই দেশ। চীন-রাশিয়া ছাড়াও বিপক্ষে ভোট দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
চীন-রাশিয়ার দাবি, সামগ্রিক অস্ত্রবিরতির কথা বলা হয়নি প্রস্তাবে। বরং এটি সবুজ সংকেত দেবে আগ্রাসন বৃদ্ধিতে। আর আমিরাত জানায়, ইসরায়েলিদের মতোই ফিলিস্তিনিদের জীবনকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। একইদিন দ্বিতীয়বারের মতো শান্তি প্রস্তাব তোলার চেষ্টা করে রাশিয়া। তবে প্রয়োজনীয় সমর্থন মেলেনি। এর আগে ব্রাজিলের তোলা প্রস্তাবে ১৪ দেশ সমর্থন দিলেও ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গাজায় যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়া; তবে অপর দুই স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের আপত্তির কারণে সেই প্রস্তাব পাস হতে পারেনি।
তারপর পরিষদের গত শনিবারের বৈঠকে ইসরায়েল ও হামাসের চলমান এই যুদ্ধ নিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই প্রস্তাবের বক্তব্য ছিল— ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এই ইরান যেন হামাসকে অস্ত্র প্রদান বন্ধ করে— সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেয়া। গাজায় মানবিক বিরতির ব্যাপারটি সেখানে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় গাজার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। তার প্রতিক্রিয়ায় ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।
তিন সপ্তাহ ধরে চলা এই যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান দেশের নাগরিক এবং গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ হাজার ৫০০ জন। এই নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৬ অক্টোবর ২০২৩