শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ক্ষমা চেয়ে হাজিরা থেকে অব্যাহতি পেলেন কক্সবাজারের জেলা জজ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩

আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ৯ আসামিকে জামিন দেওয়ার ঘটনায় এবার আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন করেছেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। সেই আবেদন হাইকোর্ট গ্রহণ করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁকে সতর্ক করে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নয় আসামিকে জামিন দেওয়ার আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এর আগে প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে আসামিদের জামিন দেওয়ায় উচ্চ আদালত ওই বিচারককে ভর্ৎসনা করেছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ তাঁর ক্ষমতার আবেদন গ্রহণ করে আদেশ দেন। এ সময় জেলা জজের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেন, ‘আপনি একজন সিনিয়র জুডিশিয়াল অফিসার। আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁরা কারাগারে গেল না, অথচ আপনি আসামিদের জামিন দিয়ে দিয়েছেন। কোনো বিষয়ে তাড়াহুড়ো করলে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। বিচার তাড়াহুড়োর বিষয় নয়। আইনি প্রক্রিয়া মেনে না চললে বিচারকের সঙ্গে সঙ্গে বিচার বিভাগও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এই বিষয়টি লক্ষ্য রেখেই আমাদের বিচার কাজ পরিচালনা করতে হবে।’

আদালতে জেলা ও দায়রা জজের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ। রিভিশন আবেদনকারীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন শুনানি করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

একটি অন্যায় ঢাকতে গিয়ে কয়েকটি অন্যায় করেছেন: জেলা জজকে হাইকোর্ট একটি অন্যায় ঢাকতে গিয়ে কয়েকটি অন্যায় করেছেন: জেলা জজকে হাইকোর্ট
জানা যায়, জমির দখল নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে করা একটি মামলায় ৯ আসামি হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে হাইকোর্ট তাঁদের জামিন না দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী গত ২১ মে আসামিরা কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সার্টিফায়েড কপি ছাড়া একই দিন জেলা ও দায়রা জজের কাছে আসামিদের পক্ষ থেকে আবেদন করলে তাঁদের জামিন দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে আসামিদের জামিন চ্যালেঞ্জ করে মামলার বাদী রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম (রিনা) হাইকোর্টে আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করা হয় জেলা জজকে। তলবের পরিপ্রেক্ষিতে হাজির হলে তাঁকে ভর্ৎসনা করেন হাইকোর্ট।


আরো খবর: