শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৯ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ক্রীড়াঙ্গনে সম্পৃক্ততা নেই এমন লোকজন নিয়ে গঠিত হচ্ছে পেকুয়া ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া ::

ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই, বা কোন সময় ছিলনা, রাজনৈতিক দলের এইধরনের লোকজনকে নিয়ে গঠিত হচ্ছে পেকুয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি! এই অবস্থার প্রেক্ষিতে স্থানীয় ক্রীড়া সচেতন মহলের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
অথচ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সারাদেশের সকল ক্রীড়াঙ্গনের কমিটি বিলুপ্ত করে খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত লোকজন নিয়ে এডহক কমিটি করার জন্য নির্দেশনা প্রেরন করেছেন সকল প্রশাসনিক দপ্তরে।

সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পেকুয়া উপজেলা ক্রীডা সংস্হার এডহক কমিটি গঠন করছেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। কমিটিতে তিনজন ক্রীডা সংগঠক ক্রীডাবিদ, ক্রীডা ব্যক্তিত্বকে সদস্য মনোনীত করার জন্য নির্দেশানা রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এডহক কমিটির সদস্য বাছাই নিয়ে ইতোমধ্যে বৈষম্য শুরু হয়েছে।

পেকুয়া উপজেলার ক্রীডা সংগঠক জসিম উদ্দিন জানান, বিগত একযুগের বেশি সময় ধরে আমি পেকুয়া উপজেলা ক্রীড়াঙ্গনের সাথে সম্পৃক্ত। কিন্ত কমিটিতে স্থান পেতে যাওয়া অনেকে ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই। এমনকি ক্রীড়ার সাথে সম্পৃক্ত ছিলনা তাদের একজন সাঈদী রহমান। তিনি ক্রীডাবীদ কিংবা ক্রীডামোদী নন। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি, দেলোওয়ার হোসেন। তিনিও ক্রীডাবিদ নন। তিনি পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনসহ সর্বত্রে একজন ডিস ব্যবসায়ী হিসেবে খ্যাত। এছাড়া আহমদ শফি একজন ক্রীডামোদী হলেও বিগত ১৫ বছর ধরে তিনি পেকুয়া ক্রীড়াঙ্গনের মাঠে অনুপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে শিলখালীর চৌধুরী গোলকিপার হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তিনি পেকুয়ায় ক্রীডার ছিলনা। ক্রীড়াঙ্গনের সাবেক-বর্তমান অনেকের দাবি করেন, ক্রীড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, এমন লোকদের দিয়ে এডহক কমিটি গঠিত হলে পেকুয়ার ক্রীড়াঙ্গন আরো ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে।

ক্রীড়াবিদ ক্রিকেটার আমির আবদুল্লাহ জানান ক্রিকেটার মোস্তাকিম, জসিমসহ আমরা আরও কয়েকজন এই পেকুয়ার ক্রীড়াঙ্গনকে বিগত ১২ বছর ধরে সাজিয়েছি। নিজেদের অর্থ শ্রম ব্যায় করেছি, কিন্তু আজ প্রকৃত ক্রীডামোদীররা নেতৃত্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে। পক্ষান্তরে রাজনৈতিক দলের কর্মী দিয়ে কমিটি গঠিত হচ্ছে শুনে আমরা খুবই মর্মাহত। এটা কোনধরনের বৈষম্য।
তিনি বলেন, উপজেলা থেকে জেলা পর্যায়ে আমরাই পেকুয়া উপজেলার ক্রীড়াকে বাচিয়ে রেখেছি। তাই অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে , এদের মুল্যায়ন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি।

জনপ্রিয় ক্রীডা সংগঠক ইউসুফ রুবেল জানান, পেকুয়া উপজেলা সদরের ক্রীড়াবিদের বাদ দিয়ে, ক্রীডার সাথে সম্পৃক্ত নেই এমন লোকদের দিয়ে কমিটি হলে পেকুয়ার ক্রীড়াঙ্গন পিছিয়ে পড়বে বলে মনে করি। তাই প্রকৃত ক্রীডাবীদকে মুল্যায়নের দাবী করছি।

পেকুয়া উপজেলা ক্রীডা কমিটির সাবেক সদস্য ও রাজাখালী এয়ারআলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদুল্লাহ বলেন, ক্রীড়াঙ্গনের মুরব্বি ও ক্রীডার সাথে জডিত এমন লোকদের দিয়ে হউক পেকুয়ার এডহক কমিটি এমনটাই আশা রাখছি।


আরো খবর: