ঢাকা, ০৪ আগস্ট – ‘বিদেশি চাপ নয়, বিবেকের চাপ অনুভব করছি’— মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমনটি বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাসলেন।
এসময় তিনি বলেন, ওদের (সরকার) আবার বিবেক আছে! তারা আবার চাপ অনুভব করে! তাদের কথা-কাজে তো কোনো মিল নেই। যখন মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়, যখন চতুর্দিকে অন্ধকার দেখতে থাকে, তখন প্রলাপ বকতে থাকে।
তেমনি বর্তমান সরকারও প্রমাদ গুনছে, তাদের কথার মধ্যে ভয়ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাজার প্রতিবাদে এই সমাবেশ করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি বললো, যুক্তরাজ্য কি বললো বা ভারত কি বললো এটা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নাই। আমাদের দরকার, আমাদের মানুষ কি বলছে। মানুষ খুব পরিষ্কার করে বলছে— ‘তোমাদের (সরকার) আর সময় নাই, যেতে হবে।’
বিচার বিভাগের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আমি জানি আপনারা সন্তুষ্ট হবেন না। একটা কথা মনে রাখবেন, আমরা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করি। আমাদের কোরআন শরিফে পরিষ্কার বলা আছে যে, সবচেয়ে বেশি আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে বিচারকদের। তিনি যদি অন্যায়ভাবে কাউকে শাস্তি দান করেন, সেই বিচারককে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। সব ধর্মেই আছে।
তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এদেশের মানুষ ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। পাকিস্তান আমলে আমি ছাত্র ছিলাম, তখন আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে তার সরকারের বিরুদ্ধে গান বানিয়েছিলো এদেশের মানুষ…।
সতর্ক করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান, খালেদা জিয়া, আমাদের নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমান উল্লাহ আমানসহ অন্যান্য যাদের আপনারা সাজা দেওয়ার জন্য ঠিক করেছেন, তাদের সাজা দেওয়ার আগে চিন্তা করবেন। এদেশের মানুষ আপনাদেরও হিসাব নেবে, জবাবদিহি করতে হবে একদিন।
সাতক্ষীরার সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিরের কারাদণ্ড এবং ঈশ্বরদীতে বিএনপির স্থানীয় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ বলে মন্তব্য করে তিনি। বলেন, এভাবে ৭০ বছর সাজা দিয়ে, মৃত্যুদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে আপনারা শেষ রক্ষা করতে পারবেন না।
মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বক্তব্য রাখেন।
সূত্র: জাগো নিউজ