শিরোনাম ::
পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনা-বিজিপি সদস্যসহ ৪০ জনকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পেকুয়ায় মায়ের সামনে ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবহেলায় হাতি শাবকের মৃত্যু : ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সারসহ ট্রলার জব্দ, আটক ১০ জন বিএনপি অফিস নিয়ে ভুল উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও বিএনপিসহ সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৬:৫২ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কক্সবাজারে ৭ বছরে ১১৮ শিশুর এইডস, মৃত্যু ১৮ জনের

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২

কক্সবাজারে এইচআইভি (এইডস) ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে মরণব্যাধি এ রোগ। এর মধ্যে রয়েছে শিশুরাও। গত ৭ বছরে কক্সবাজারে ১১৮ শিশুর শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ১৮ শিশুর।

কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, এইচআইভি পরীক্ষার জন্য কক্সবাজারে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে দুইটি অ্যান্টিজেন র‌্যাপিড টেস্ট (এআরটি) কর্ণার চালু হয়। যার একটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এবং অপরটি রয়েছে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ দুটি কর্ণারে ২০১৫ সাল থেকে কক্সবাজার জেলায় মোট ১ হাজার ২১ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮২১ জনই হচ্ছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা। আর ২০০ জন বাংলাদেশি; যেখানে তিনজন ট্রান্সজেন্ডার। জেলায় এ ৭ বছরে ১২০ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে আক্রান্তের মধ্যে বর্তমানে ১১৮ জন শিশু রয়েছে। এর ১০৩ জনই রোহিঙ্গা এবং ১৫ জন স্থানীয়। আর গত সাত বছরে ১৮ শিশু মারা গেছে।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সাল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বাংলাদেশের যেকোনো জেলার তুলনায় কক্সবাজারে এইডসে আক্রান্তের হার বেশি। জেলাটি রোহিঙ্গাদের বসবাসের জায়গা হওয়ায় এখানে এইডস রোগের ঝুঁকি বাড়ছে, পাশাপাশি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক ৭টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে স্ক্যানিং করে এইচআইভি রোগের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে কারও শরীরে এইডসের লক্ষণ পাওয়া গেলে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এবং উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এআরটি কর্ণারে পাঠানো হয়।’

এইডস রোগী বাড়ার পেছনে অসচেতনতাই দায়ী করছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান।

প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘যেহেতু কক্সবাজারে ৮ শতাধিক রোহিঙ্গা এ রোগে আক্রান্ত, তাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কক্সবাজার ঝুঁকিতে পড়েছে। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে এখনই গণসচেতনা তৈরি না করলে এই ঝুঁকি আরও বাড়বে। শিশুদের রক্ত দেয়া, ইনজেকশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্তকতা জরুরি।’

কক্সবাজার পিপলস্ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘জেলায় রোহিঙ্গা আসার পর থেকে এইডস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। কারণ রোহিঙ্গা নারীদের একতা অংশ যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাই রোহিঙ্গারা যাতে বাইরে অবাধ বিচরণ করতে না পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেদিকে সর্তক থাকা জরুরি।


আরো খবর: