বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কক্সবাজারে হোটেল কক্ষে আওয়ামী লীগ নেতার হাত বাঁধা লাশ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩

কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলে মিলেছে পৌর আওয়ামী লীগের এক নেতার হাত বাঁধা রক্তাক্ত মরদেহ।

সোমবার সকালে শহরের হলিডের মোড় এলাকায় সানমুন নামে একটি আবাসিক হোটেলের দ্বিতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষে লাশটি পাওয়া যায় বলে কক্সবাজারের এসপি মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান।

নিহতের সাইফুদ্দিন (৪৫) কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত আনসার কমান্ডার আবুল বশরের ছেলে। তিনি কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা ছিলেন।

মরদেহে ছুরির তিনটি আঘাত ছাড়াও জখমের চিহ্ন দেখা গেছে জানিয়ে এসপি মাহফুজুল ইসলাম জানান, হোটেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধারের জন্য এসেছে। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজসহ নানা উৎস থেকে হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।

হোটেলটির ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম জানান, গত রোববার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাইফুদ্দিনসহ তিন জন এসে ওই কক্ষে উঠেন। সোমবার সকালে সাইফুদ্দিনের খুঁজে তার বন্ধুরা আসেন। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে কক্ষের দরজায় ধাক্কা দিলে তা খুলে যায়। খাটে রক্তাক্ত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

রেজাউলের দাবি, সাইফুদ্দিন প্রায়ই হোটেলে এসে থাকতেন।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, সাইফুদ্দিনের নিজের প্যান্টের বেল্ট দিয়ে হাত দুটি বাঁধা। হাঁটু, পেট এবং পিঠে ছুরির তিনটি আঘাত রয়েছে।

হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে মাহাবুবুর রহমান বলেন, “কক্সবাজার পর্যটন শহর। এই শহর এখন অনেক বেশি অনিরাপদ হয়ে গেছে।”

নিহতের ছোট ভাই মহিউদ্দিন বলেন, “রাতে ভাই বাড়িতে যাননি; ফোনও বন্ধ ছিল। ভাবি (নিহতের বউ) ভাইয়ের বন্ধুদের ফোন করে খোঁজ নিচ্ছিলেন। ভাইয়ের বন্ধু ইলিয়াস বিভিন্ন স্থানে খবর নিতে নিতে এক পর্যায়ে সানমুনে এসে ভাইয়ের লাশ পান।”

এদিকে, সাইফুদ্দিনের খুনিতে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে কক্সবাজারে মিছিল করে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।


আরো খবর: