শিরোনাম ::
গাজায় গনহত্যা বন্ধের দাবিতে উত্তাল পেকুয়া কক্সবাজারে কেএফসিসহ ৫ রেঁস্তোরায় ভাঙচুর চকরিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, কর্মবিরতি সত্য প্রকাশই হোক গণমাধ্যমের একমাত্র অঙ্গিকার: কক্সবাজারে বিএফজেইউ মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন ঈদগাঁওতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১ টেকনাফে আবারও দুইজনকে অপহরণ, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি উখিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে মসজিদের খতিবসহ নিহত ৩ চকরিয়ায় তুলে নিয়ে যুবকের হাত শরীর থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী চকরিয়ায় পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৪ পলাতক আসামি গ্রেফতার
সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কক্সবাজারে সাবেক ডিসি, জজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫

কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ গত ২৩ জানুয়ারি এই আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন- কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ।

ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সিরাজ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত এই পরোয়ানা জারি করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১,৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। চিংড়ি ঘের, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য অবকাঠামোর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে বরাদ্দ ছিল ২৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে চিংড়ি ঘের অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ বরাদ্দ ছিল ৪৬ কোটি টাকা। তদন্তে উঠে আসে, মনগড়া ২৫টি চিংড়ি ঘের দেখিয়ে ৪৬ কোটি টাকার মধ্যে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।

এ ব্যাপারে মাতারবাড়ীর বাসিন্দা কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী তৎকালীন জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত চলাকালে আসামিদের স্বাক্ষর জাল করে প্রধান আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়া হয়। জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার এই জালিয়াতিতে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় দ্বিতীয় মামলায় রুহুল আমিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে দুদক পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে। জালিয়াতির বিষয়টি সিআইডির হস্তলিপি বিশেষজ্ঞরা প্রমাণ পান।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, চিংড়ি ঘের অধিগ্রহণের জন্য প্রাথমিকভাবে ২৩ কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনটি চেক বাতিল করা হয়। অবশিষ্ট ১৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা যারা উত্তোলন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার সদর মডেল থানায় আরো একটি মামলা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়।

এদিকে ২০১৭ সালের ২২ মে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। অন্য আসামিদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাফর আলমকে ঢাকার সেগুনবাগিচা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার ও সাবেক সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়। মামলাটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন।


আরো খবর: