টেকনাফে শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা ও শ্যালিকার হাত বিচ্ছিন্ন করার মামলায় শামসুল আলম নামের একজনকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে শামসুল আলমের উপস্থিতিতে শাশুড়ি হত্যার দায়ে ৩০ বছর এবং শ্যালিকার হাত বিচ্ছিন্ন করার অপরাধে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল।
২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর দিন দুপুরে সীমানা বিরোধের জেরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। সাজাপ্রাপ্ত শামসুল একই গ্রামের মৃত জহির আহম্মদ মিস্ত্রীর ছেলে।
নিহতের স্বামী ও মামলার বাদি আবদুল গফুর বলেন, শামসুল আলম আমার মেয়ের জামাতা ও আমার প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে আমাদের সীমানা বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরেই প্রকাশ্যে দিবালোকে আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা এবং আমার ছোট মেয়ের হাত বিচ্ছিন্ন করে শামসুল। এ নিয়ে আমি মামলা করি। বুধবার তার রায় হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি আইনজীবী (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, হত্যা ও হত্যা চেষ্টার আইনের ৩টি ধারায় শামসুল আলম পৃথকভাবে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হাত বিচ্ছিন্ন করার দায়ে ৩২৬/৩০৭ ধারায় ১০ বছর এবং হত্যার দায়ে ৩০২ ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাকে মোট ৪০ বছরই কারাভোগ করতে হবে।