ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অনুসন্ধানী ধারাবাহিক তালাশে প্রতিবেদন প্রচারের পর কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। টুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছে, কক্সবাজার চান্দের পাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার কর্মচারির নাম আলাউদ্দিন। তার বিরুদ্ধে পর্যটকদের কাছে ইয়াবা সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে।
হাত বাড়ালেই কক্সবাজারের মেলে ইয়াবা। সম্প্রতি সেই তথ্য অনুসন্ধানে নামে টিম তালাশ। অনুসন্ধানে কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে ভয়াবহ ইয়াবা ও নারী দিয়ে ব্লাকমেইলের চিত্র উঠে আসে। এরপরই নড়েচড়ে বসে দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় তালাশ টিমের কাছে ইয়াবা সরবরাহকারী ও রাজভীর রিসোর্টের কর্মচারী আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অবশ্য রিসোর্ট কর্মচারী গ্রেপ্তার হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে তালাশ টিমের উপর হামলাকারী, ইয়াবা ও প্রতিতা ব্যবসায়ী নোমানুল হক সাজিম ।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে বলেন, ‘ইয়াবা সরবরাহকারী রাজভীর রিসোর্টের কর্মচারী আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রিসোর্ট মালিকের সংশ্লিষ্টতা পেলে তাকেও গ্রেফতার করা হবে।’
এর আগে, আমিন নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে টুরিস্ট পুলিশ। আমিন সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তালাশ টিম পরিচয় গোপন রেখে তার সাথে কথা বলে। পরে সেটি প্রচার হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আমিনকে গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, সে রোহিঙ্গা। পরে দায়িত্বশীল সংস্থার মাধ্যেম তাকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে টুরিস্ট পুলিশ।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসংগতি নিয়ে সম্প্রতি ‘কক্সবাজারের ক্রাইম জোন’ শিরোনামে তালাশে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তালাশ টিম ঢুকে পড়ে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভয়রাণ্য কটেজ জোনে। রাজভীর রিসোর্টের কর্মচারী পরিচয় দেওয়া আলাউদ্দিনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় ইয়াবা। প্রলোভন দেখানো হয় নারীরও। পরের এসব বিষয়ে অফিসিয়াল বক্তব্য নিতে গেলে তালাশের উপর হামলা করে নোমানুল হক সাজিম ও তার বাহিনী।