কক্সবাজারের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ট্রলারের হিমঘর থেকে উদ্ধার ১০ মরদেহের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- মহেশখালীর হোয়ানক ছনখোলার আলী আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ মুসা, মোহাম্মদ রফিকের ছেলে শামসুল আলম, শাপলাপুর মিঠাছড়ি এলাকার জাফরের ছেলে শওকত উল্লাহ, মুশু আলীর ছেলে ওসমান গণি, সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেনের ছেলে পারভেজ মোশাররফ ও দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম। বাকি দুইজনের স্বজনদের পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে উপস্থিত স্বজনেরা সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার দুপুরে কক্সবাজারের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে একটি ট্রলারের হিমঘর থেকে ১০টি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাদের সবার চেহারা গলিত ও বিকৃত হয়ে গেছে।
মহেশখালী ও পেকুয়া উপজেলার জেলেদের দেয়া তথ্য মতে, গত ৭ এপ্রিল মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার মৃত রফিক আলমের ছেলে শামসুল আলম তার নিজস্ব মালিকানাধীন একটি ফিশিং ট্রলার নিয়ে ১৪ মাঝিমাল্লাসহ সাগরে মাছ ধরতে যায়। এর ৩ দিন পর ১০ এপ্রিল সাগর থেকে মাছ ধরে ফিরে আসা কালারমার ছড়া ইউনিয়নের আধাঁরঘোনা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে বাবু জানিয়েছিলেন, ওই ট্রলারের ১৪ মাঝিমাল্লা অপর একটি ট্রলারকে ডাকাতি করার অভিযোগে কয়েকটি ট্রলার ঘিরে আটকে ফেলে। এরপর ১৪ জনকে হিমঘরে আটকে দিয়ে ট্রলারটি ডুবিয়ে দেয়। ওই ট্রলারের বাবুর আপন ভাই হায়াত উল্লাহও রয়েছেন।
এরপর থেকে ট্রলার বোটের মালিক শামসুল আলমসহ ১৪ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছে।