শিরোনাম ::
ঘুমধুম সীমান্তে ইয়াবা নিয়ে বাংলাদেশি-রোহিঙ্গাসহ ৪ মাদক চোরাকারবারি আটক মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়ল টেকনাফের বসতঘরের আঙিনায় মাদকের টাকার জন্য মা’কে খুন: হত্যাকারী নিজেই ধরা দিয়েছে পুলিশের হাতে পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, হচ্ছে মামলা রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে আ.লীগ গলায় ফাঁস দিয়ে ২ সন্তানের জননীর আত্মহত্যা পেকুয়ায় মহেশখালীতে মদ ভেবে কেমিক্যাল খেয়ে মাদক নির্মূল কমিটি সদস্যের মৃত্যু সেন্টমার্টিনকে বাঁচাতে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে : উপদেষ্টা টেকনাফে অভিযানে উদ্ধার তাজা রকেট হিট কানাডায় স্ত্রী ও সন্তানকে রেখেই তথ্য গোপন করে বিয়ের পিড়িতে কক্সবাজারের নুর!
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কক্সবাজারে নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আশিকের সহযোগী আটক

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১

কক্সবাজারের হোটেলে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ইসরাফিল হুদা জয় নামে আরেক আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে চকরিয়া বাস স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার জয় কক্সবাজার শহরের শফি উদ্দীনের ছেলে এবং ঘটনার মুলহোতা আশিকের সহযোগী।

দুপুরে ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মুসলিম।

তিনি বলেন, এই পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত আশিকসহ এজাহারনামীয় তিনজন এবং ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মুসলিম জানান, এই ঘটনায় গ্রেফতার জিয়া গেস্ট ইন ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন চারদিন এবং অন্য তিন আসামি দুইদিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

তারা হলেন- কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার রেজাউল করিম শাহাবুদ্দিন, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার উলুবনিয়া এলাকার মামুনুর রশীদ ও কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার মেহেদী হাসান।

মামলায় এই পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার মাদারীপুর থেকে র‍্যাব গ্রেফতার করে মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে।

এর আগে ঘটনার পরদিনই র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হন মামলার এজাহারভুক্ত আরেক আসামি হোটেল জিয়া গেস্ট ইনের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, গত ২২ ডিসেম্বর শহরের কবিতা চত্ত্বরে রোড সংলগ্ন এক ঝুপড়ি ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে সেখান থেকে ওই নারীকে নিয়ে যাওয়া হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের আবাসিক হোটেল। দ্বিতীয় দফায় সেখানেও তিনি ধর্ষণের শিকার হন।

এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর চারজনের নাম উল্লেখ করে ও দু-তিনজনকে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগীর নারীর স্বামী।

এদিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে গতকাল সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ধর্ষণের শিকার পর্যটক তার হৃদরোগে আক্রান্ত আট মাসের শিশুর চিকিৎসার জন্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাতে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারে যান। পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ জোগানোর বিষয়টি জেনে তাঁদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন গ্রেফতা রকৃত ধর্ষক আশিক ও তার সহযোগীরা। এ অর্থ না দেওয়ায় ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী।


আরো খবর: