শিরোনাম ::
গাজায় গনহত্যা বন্ধের দাবিতে উত্তাল পেকুয়া কক্সবাজারে কেএফসিসহ ৫ রেঁস্তোরায় ভাঙচুর চকরিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, কর্মবিরতি সত্য প্রকাশই হোক গণমাধ্যমের একমাত্র অঙ্গিকার: কক্সবাজারে বিএফজেইউ মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন ঈদগাঁওতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১ টেকনাফে আবারও দুইজনকে অপহরণ, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি উখিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে মসজিদের খতিবসহ নিহত ৩ চকরিয়ায় তুলে নিয়ে যুবকের হাত শরীর থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী চকরিয়ায় পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৪ পলাতক আসামি গ্রেফতার
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কক্সবাজারে কেএফসিসহ ৫ রেঁস্তোরায় ভাঙচুর

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫

কক্সবাজারে কেএফসিসহ ৫ রেঁস্তোরায় ভাঙচুর
ফিলিস্তিনে বর্বর হামলার প্রতিবাদে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কক্সবাজার শহরজুড়ে সাধারণ জনতা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তবে, এ বিক্ষোভ মিছিল থেকে পর্যটন জোনে অবস্থিত কেএফসিসহ প্রায় ৫টি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দান থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল হলিডে মোড় ঘুরে লাবণী হয়ে কলাতলী যায়। এ সময় ভাঙচুর চালানো হয়।

কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আলী বলেন, ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের সবসময় সংহতি রয়েছে। আজকের বিক্ষোভ মিছিলেও আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। তবে, ইজরায়েলি পণ্য রাখার অজুহাতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল মানুষ কেএফসি, পিৎজা হাটের পাশাপাশি কাঁচা লংকা, পানসি রেস্টুরেন্ট এবং মেরিন ফুড রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় কাঁচ লেগে কয়েকজন পর্যটক আহত হন।

তিনি আরও বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা কক্সবাজারের পর্যটনের জন্য অশনিসংকেত। আমরা ইসরায়েলের পণ্য যত সম্ভব বর্জন করছি। তারা যদি সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলতে বলতো তাহলে সুন্দর একটা সমাধান হতো। ভাঙচুর করে পর্যটকদের মাঝে একটা আতঙ্ক তৈরি করা হলো। আহতও হলো কয়েকজন। বিষয়টি প্রশাসনের তদারকি করা উচিত।

দেখা গেছে, কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোনের সুগন্ধা লংবিচ এলাকায় তিনতলা ভবনের উপর তলায় কেএফসি এবং দ্বিতীয় তলায় পিৎজা হাটের অবস্থান। ভাঙচুরের পর বেশকিছু কাঁচ ভেঙে পড়ায় বন্ধ করা হয়েছে পিৎজা হাট। তবে খোলা রয়েছে কেএফসি।

কক্সবাজার পিৎজা হাটের ইনচার্জ পারভেজ মিয়া বলেন, মূলত কেএফসির ওপর মানুষের ক্ষোভ বেশি। তারা হঠাৎ মিছিল থেকে কেএফসি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল মারা শুরু করে। তবে কেএফসি উপরের ফ্লোরে হওয়ায় এগুলো এসে পড়ে পিৎজা হাটে। আমাদের বেশকিছু কাঁচ এবং যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আপাতত রেস্টুরেন্ট বন্ধ রেখেছি।

কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ বলেন, রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ডে সেভেন আপের বিজ্ঞাপন ছিলো। এই অজুহাতে আমাদের রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়। আমরাও তো ফিলিস্তিনকে সাপোর্ট করি। আমাদের বললে সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলতাম।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান জানান, পুলিশ মিছিলের আগে ও পিছে ছিল। মিছিলের দৈর্ঘ্য বিশাল হওয়ায় মাঝখান থেকে কিছু অতি উৎসাহী লোকজন ইসরাইলী পণ্য রাখার অভিযোগে কয়েকটি রেস্টুরেন্টের পেপসির সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলেছে। কিছু ঢিল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে, তবে মিছিলে উপস্থিত মুরুব্বিরা তাদেরকে তৎক্ষণাৎ নিয়ন্ত্রণ করে। এরপরও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।


আরো খবর: