শিরোনাম ::
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কক্সবাজারে উপকূল সুরক্ষা বিষয়ক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আপডেট: মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩

কক্সবাজারে উপকূল  সুরক্ষা কর্মসূচি বিষয়ক পরামর্শ সভা মঙ্গলবার ( ২ মে) কক্সবাজারের একটি হোটেল লং বীচের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অর্থায়নে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এলায়েন্স ফর কো-অপারেশন এন্ড লিগ্যাল এইড বাংলাদেশ ( একলাব) আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার অতিরক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ) মোঃ নাসিম আহমেদ ।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন , ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব টেস্টের ফরেন সার্ভিস অফিসার স্কট ব্র্যান্ডন, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সরোয়ার আলম, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মজিবুল ইসলাম এনজিও সংস্থা একলাবের সহকারী পরিচালক তানভীর শরীফ ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ মনিরুজ্জামান।

শুরুতেই উপকূল সুরক্ষা কর্মসূচির পটভূমি কাজের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপনা করেন একলাবের প্রকল্প কর্মকর্তা উম্মে মারজান জুঁই।
সভায় জানানো হয়, কক্সবাজারে উপকূল ভাঙ্গন ও লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্যের সুরক্ষার জন্য ডেইল বা বালিয়াড়ির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নানা ক্ষতিকর কাজকর্ম ও অযত্ন-অবহেলায় জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের উঁচু উঁচু সব ডেইল (বালিয়াড়ি) ধ্বংস হয়ে গেছে বা যাওয়ার পথে। যার পরিণতিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কক্সবাজারে জোয়ারে প্লাবিত এলাকা ও সামুদ্রিক ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উপকূলীয় জনসম্পত্তি, প্রতিবেশ- প্রাণবৈচিত্র্য ও পর্যটন দীর্ঘমেয়াদী হুমকির মুখে পড়েছে।

এ দিকে হারিয়ে যাওয়া ডেইল ও সৈকতের প্রতিবেশগত পুনরুদ্ধার ও সুরক্ষার মাধ্যমে ভাঙ্গন, লবণাক্ততা, ও প্রতিবেশগত সংকট উত্তরণে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের অর্থায়নে, স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা এ্যালায়েন্স ফর কো- অপারেশন এন্ড লিগাল এইড বাংলাদেশ (একলাব) এবং সাগর সেবা’র উদ্যোগে কক্সবাজারে একটি উপকূল সুরক্ষা কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।


উপকূল সুরক্ষা কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, পাইলট প্রকল্প হিসেবে রামু উপজেলার দরিয়ানগর ও পেচার দ্বীপ, উখিয়া উপজেলার বাইলাখালী ও টেকনাফ উপজেলার জাহাজ পুরা সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় ৬ টি স্থানে বনায়নের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আগামী বর্ষার মৌসুমের শুরুতেই সাগরলতা, হারগোজা, নিশিন্দা ও আকন্দ প্রজাতির প্রায় ৯০ হাজার চারা রোপণ করা হবে ।
পরামর্শ সভায় সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি , বন বিভাগের কর্মকর্তা, এনজিও কর্মকর্তা , পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ , কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

 


আরো খবর: