নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের ছুটির প্রথমদিনে পর্যটক মুখর হয়ে উঠেছে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। আনন্দের বার্তা নিয়ে সমুদ্রের সুগন্ধা পয়েন্ট ও ইনানী বীচে হাজারো দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। একই সাথে অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে।
এ অবস্থা চলতে থাকলে সরকারি ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম হবে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের ঈদে পর্যটনের শেষ মৌসুমের ইতি টানছেন। তবে এই ঈদে আশানুরূপ পর্যটক আসলে ক্ষতি পুষিয়ে লাভের আশার মুখ দেখছেন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মুকিম খান জানান, সকাল ১১টার পর থেকে সমুদ্র সৈকতে নামতে শুরু করে দর্শনার্থীরা। দুপুরের দিকে সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে ভরে যায়। বিকালের দিকে আরও বেশি দর্শনার্থী সৈকতে নামে।
হোটেল ব্যবসায়ী নাছির উদ্দীন জানান, ঈদে সৈকতে ঘুরে বেড়ানো দর্শনার্থীদের অধিকাংশই স্থানীয় লোকজন। তারা ঈদের ছুটিতে মনের সুখে বেড়াতে ছুটে আসে সৈকতে। আগামীকাল থেকে দূর-দূরান্তের পর্যটকদের কক্সবাজারে সমাগম ঘটবে।
কক্সবাজার লাবনী পয়েন্ট ব্যবসায়ী সমিতির নেতা হাবিবুর রহমান জানান, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। আজকে ঈদের দিনে কিছুটা ব্যবসা হয়েছে। আগামীকাল থেকে ব্যবসা জমে উঠবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আগমণের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে হোটেল কক্ষ বুকিংয়ে বেশ সাড়া মিলেছে। প্রতিটি হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে ৫০ থেকে ৮০ থেকে ৭০ শতাংশ কক্ষ অগ্রীম বুকিং হয়েছে। এর মধ্যে তারকা মানের হোটেলগুলোতে বুকিং বেশি হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি কক্সবাজারে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সৈকতসহ হিমছড়ি, ইনানী, রামু, মহেশখালী ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শতভাগ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে রাতদিন টহল থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, ঈদের পরে সাতদিন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলাজুড়ে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সার্বিক বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে।