সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কংগ্রেসে ফের ধাক্কা, এবার বিজেপিতে অবিভক্ত অন্ধ্রের শেষ মুখ্যমন্ত্রী

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩


নয়াদিল্লি, ০৭ এপ্রিল – দক্ষিণ ভারতে আবারও ধাক্কা খেল কংগ্রেস। বিজেপিতে যোগ দিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডি। অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কিরণ কুমার রেড্ডি। আগামী বছর অন্ধ্রে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই কংগ্রেসের সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়ে রাজনীতির নতুন ইনিংস শুরু করছেন কিরণ। কংগ্রেসের এই নেতার বিজেপিতে যোগদানে অন্ধ্র প্রদেশে শক্তি বাড়ল গেরুয়া শিবিরের।

দলের সঙ্গে আগেই দূরত্ব বেড়েছিল কিরন কুমার রেড্ডির। গেল মাসের শেষে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চিঠি লিখে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন কিরণ কুমার রেড্ডি। আজ শুক্রবার দুপুরে বিজেপির সদর দপ্তরে বিজেপির সদস্যপদ নেন কিরণ। তাঁকে বিজেপিতে স্বাগত জানান সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। এ নিয়ে গত দুই দিনে দক্ষিণ ভারতের দুই বলিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন। বৃহস্পতিবারই কেরালার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা একে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি বিজেপিতে যোগ দেন।

এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রাক্তন দল সম্পর্কে একরাশ হতাশা ব্যক্ত করেন কিরণ কুমার রেড্ডি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘কখনও ভাবিনি আমাকে কংগ্রেস ছাড়তে হবে। কিন্তু কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব কঠোর পরিশ্রম করতে চায় না। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে হাইকমান্ড কোনো আলোচনা করে না। মনে করে, তাঁরা সব সময় ঠিক কাজ করছেন। সব রাজ্যেই কংগ্রেস ভেঙে পড়ছে। কিন্তু হাইকমান্ড কোনো মতামত নেয় না। যোগাযোগ রাখে না। কংগ্রেসের অবস্থা এখন সেই রাজার মতো, যিনি নিজেকে ভীষণ বুদ্ধিমান মনে করেন এবং কারও পরামর্শ শোনেন না। নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ কমে আসায় কংগ্রেস একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি সমাজের সব স্তরের মানুষের উন্নতির জন্য সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। আমি অনুপ্রাণিত এই কাজ দেখে।’

অবিভক্ত অন্ধ্রে কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা ছিলেন কিরণ। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কিরণ রেড্ডি। প্রশাসনিক সুবিধার স্বার্থে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানা গঠন করে। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন কিরণ। এরপর ‘জয় সামাইকান্ধারা’ নামে একটি দল গঠন করেন। কিন্তু ২০১৪ সালের ভোটে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয় এই দল। ২০১৮ সালে ফের কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। যদিও তারপর থেকে রাজনৈতিকভাবে কিছুটা নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন কিরণ। কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে গত মাসে কংগ্রেস ত্যাগ করেন। সাংগঠনিকভাবে প্রভাবহীন কিরণের দলত্যাগকে সেভাবে ধাক্কা হিসাবে দেখছে না কংগ্রেস।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন্ন কর্ণাটক ভোটে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশেও বিধানসভা ভোট আসন্ন এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে চাপে রাখতে সুকৌশলে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের গেরুয়া শিবিরে যোগদান করাচ্ছে হচ্ছে বিজেপি।

অন্ধ্র প্রদেশে বর্তমানে ক্ষমতাশীন দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধী দল তেলুগু দেশম পার্টি। বিজেপি এবং কংগ্রেস সে রাজ্যে অনেকটাই দুর্বল। অন্ধ্রের বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের শক্তি বাড়ানোয় সচেষ্ট মোদী-শাহরা। কিরণের অন্তর্ভুক্তি তাতে সুবিধা দিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এমনকি কিরণ রেড্ডিকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতে পারে বিজেপি।

সূত্র: সমকাল
আইএ/ ০৭ এপ্রিল ২০২৩


আরো খবর: