আষাঢ় মাসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উপকূল জুড়ে ঝাউগাছ রোপন করে সবুজ বেষ্টনি গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ঝাউগাছ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য যেমন বৃদ্ধি করবে পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় রক্ষাকবজের ভূমিকা পালন করবে।
বুধবার বেলা সোয়া ১১ টায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) অফিস ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রিয় স্থানের মধ্যে কক্সবাজার একটি এবং কক্সবাজার ঘিরে বঙ্গবন্ধুর নানা স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বহুমুখি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিকমানের বিমানবন্দর কক্সবাজারের সাথে বৈশ্বিক যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। কক্সবাজারের পরিবেশ রক্ষা করে পর্যটন শিল্পের বিকাশ করতে হবে। দ্বীপাঞ্চলগুলোর পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র্যও রক্ষা করতে হবে।
মহেশখালীর মেগা-প্রকল্প ও রেল লাইন কক্সবাজারের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে বলে অভিমত ব্যক্ত করে সরকার প্রধান বলেন, সমুদ্রসীমা বিজয় সুনীল অর্থনীতির বিকাশের জন্য মাইলফলক। এর সঠিক ব্যবহার করার আহবান জানান তিনি।
কক্সবাজার শহরের বাহারছড়াস্থ মুক্তিযোদ্ধা গোলচত্বর মাঠে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, সচিব মো. শহীদুল্লা খন্দকার ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফোরকান আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১.২১ একর জমির উপর ১০ তলা বিশিষ্ট কউক ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১০ কোটি ছয় লাখ টাকা।