কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে একের পর এক মা কচ্ছপের মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে সুখবর দিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট (বোরি)। প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোমবার অন্তত পাঁচটি মা কাছিম উপকূলে ডিম পেড়ে সমুদ্রে ফিরে গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তরিকুল ইসলামের দেওয়া তথ্যমতে, ভোরে সোনারপাড়া সৈকতের রেজুখাল মোহনার বালিয়াড়িতে একটি অলিভ রিডলি মা কাছিম ১০১টি ডিম পেড়ে সমুদ্রে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া শামলাপুর দুটি কাছিম থেকে ২৪০টি, মাথাভাঙ্গা একটি কাছিম থেকে ১১৫টি, উত্তর শীলখালী একটি কাছিম থেকে ১১০টিসহ মোট পাঁচটি কাছিম থেকে ৫৬৬টি ডিম সংরক্ষণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখন মা কচ্ছপের প্রজনন মৌসুম। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত মা কচ্ছপ উপকূলে এসে ডিম দেয়। কোডেক-ন্যাচার অ্যান্ড লাইফ প্রজেক্টের অধীনে এসব ডিম সংগ্রহ, বাচ্চা ফুটানো এবং সাগরে ছেড়ে দেওয়ার কাজটি করা হয়ে থাকে। একই দিনে পাঁচটি কচ্ছপের ৫৬৬টি ডিম সংগ্রহ নিশ্চয় বড় সুখবর।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ভেসে এসেছে ১০৩টি মৃত মা কচ্ছপ। এর মধ্যে ১১ দিনে পাওয়া গেছে ৫৯টি মৃত মা কচ্ছপ। যার মধ্যে ৭ শতাধিক ডিমও সংগ্রহ করা গেছে।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, প্রতিটি কচ্ছপই জালের সুতোয় পেছানো এবং আঘাতপ্রাপ্ত ছিল। উপকূলে ডিম দিতে আসার সময় জেলেদের ফেলে দেওয়া জাল, রশিতে পেছিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এসব কচ্ছপের মৃত হয়েছে।