উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে পাচারকারীরা মাটিভর্তি ডাম্প ট্রাক চাপা দিয়ে বনকর্মী সাজ্জাদুজ্জামানকে হত্যার ঘটনায় ১ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম ছৈয়দ করিম(৩৫)। তিনি ওই মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি। তিনি হরিণমারা এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।
সোমবার (১ এপ্রিল) ভোরে রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (৩১ মার্চ) মধ্যরাত ১২ টার পর বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন আরও বলেন, রবিবার রাতে বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫ জনকে আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে।
ঘটনার পর থেকে পুলিশ জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে সোমবার ভোরে রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি ছৈয়দ করিমকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।
এ ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সর্বমোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন, উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম হরিণমারা এলাকার মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে ও ডাম্পার ট্রাকটির চালক মো. বাপ্পী (২৩), একই এলাকার সুলতান আহম্মদের ছেলে ছৈয়দ আলম ওরফে কানা ছৈয়দ (৪০) ও তার ছেলে মো. তারেক (২০), রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল এলাকার নুরুল আলম মাইজ্জার ছেলে হেলাল উদ্দিন (২৭), হরিণমারা এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে ছৈয়দ করিম (৩৫), একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আনোয়ার ইসলাম (৩৫), আব্দুর রহিমের ছেলে শাহ আলম (৩৫), হিজলিয়া এলাকার ঠান্ডা মিয়ার ছেলে মো. বাবুল (৫০), একই এলাকার ফরিদ আলম ওরফে ফরিদ ড্রাইভারের ছেলে মো. রুবেল (২৪) এবং হরিণমারা এলাকার শাহ আলমের ছেলে কামাল উদ্দিন ড্রাইভার (৩৯)।
নিহত মো. সাজ্জাদুজ্জামান (৩০) কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে। ঘটনায় আহত বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার আবুল মঞ্জুরের ছেলে।