শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৪১ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

উখিয়ায় আদালতের আদেশ অমান্য করে সংখ্যালঘুর জায়গায় জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২

উখিয়ার মরিচ্যা গোরামিয়া গ্যারেজ এলাকায় আদালতের আদেশ অমান্য করে সংখ্যালঘু আনন্দ বালা বড়ুয়া (৬২) নামক এক বিধবা মহিলার সরকারি বন্দোবস্তি প্রাপ্ত জায়গা জবরদখল করে কতিপয় ভূমিদস্যুরা রাতের আঁধারে স্থাপনা তৈরীর গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
গত ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার গভীর রাতে সাহাব মিয়ার ছেলে ফরিদ, আলম ও মানিকের নেতৃত্বে ১০/১২ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী অবৈধ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জোর পূর্বক বাউন্ডারি ওয়াল ও পাকা ঘর নির্মাণ করতেছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী বয়োবৃদ্ধ অসহায় আনন্দ বালার।
জানা গেছে , উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রুমখা বড়ুয়া পাড়া গ্রামের মৃত বানু বড়ুয়ার স্ত্রী আনন্দ বালা বড়ুয়া ভূমিহীন হিসেবে আবেদন করে ৪৫ শতক খাস জমি সরকার হতে বন্দোবস্তি প্রাপ্ত হন। যার বন্দোবস্ত মামলা নম্বর ১৭০/১৯৯৯ – ২০০০। দলিল নম্বর ১৫১৮ ও সম্পাদন তারিখ ২৭/১০/২০০৩। মৌজা মরিচ্যা পালং, বিএস ২১০১। সৃজিত বিএস খতিয়ান নম্বর ৪৩৯।
গতকাল (২৬ অক্টোবর) বুধবার রাতে থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে , বিধবা আনন্দ বালা সংখ্যা লঘু হওয়ার সুবাদে পার্শ্ববর্তী সাহাব মিয়ার পুত্র ও তার স্ত্রীর রহিমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে উক্ত জায়গা জবর দখলের অপচেষ্টা করে আসছিল। স্থানীয়ভাবে সালিশ বিচার দিলেও প্রতিপক্ষ গং কারো কথা কর্ণপাত করে না ।
এ ব্যাপারে আইনের প্রতিকার চেয়ে আনন্দ বালা বাদী হয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারর মামলা দায়ের করে। যার মামলা নম্বর ১২০৫। ২০১৯
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে এনে সহকারী কমিশনার( ভূমি) তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিবাদী ফরিদ, আলম গংকে বিরোধীয় জাগায় প্রবেশে বারিত আদেশ প্রদান করেন।
জায়গার মালিক আনন্দ বালা বড়ুয়া অভিযোগ করে বলেন , সংখ্যালঘু হওয়ায় চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা আদালতের আদেশ অমান্য করে সরকারি বন্দোবস্ত প্রাপ্ত জায়গাটি সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক জবরদখল করে অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অপচেষ্টা করছে । বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে উল্টো আমার পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় ।
একই এলাকার গ্রামবাসী সুলতান আহমদ ও আবুল কালাম জানান,বড়ুয়া সম্প্রদায় আনন্দ বালার জায়গা জবরদখল বিষয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাহমুদুল হক চৌধুরী ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার স্বপন শর্মা রনি একাধিকবার সালিশী বৈঠকে বসলেও প্রতিপক্ষ আলম ও রহিমা গং কারো কথা কর্ণপাত করে না ।
স্থানীয় মেম্বার , স্বপন শর্মা রনি জানান দখল স্বত্ব কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় জায়গার মালিক হচ্ছেন আনন্দ বালা বড়ুয়া । আইন অমান্য করে ও স্থানীয় সালিশি না মেনে জায়গা জবরদখল করে স্থাপনা নির্মাণ খুবই দুঃখজনক ।
এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে , আদালতে বিচারাধীন জায়গায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে রাতের আধারে জোর পূর্বক স্থাপনা নির্মাণ ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিলে হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধ রাখতে বলল জবর দখল কারীরা তা অগ্রাহ্য করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । এমনকি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাহমুদুল হক চৌধুরীর অনুরোধ করলে তাও মানছে না।
ভূমিদস্যু জবরদখলকারী কবে থেকে জায়গা রক্ষা করার জন্য সংখ্যালঘু বিধবা আনন্দ বালা বড়ুয়া পুলিশ প্রশাসন সহ উর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।


আরো খবর: